অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক স্থাপনায় লাল-সবুজের আলোয় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙের আদলে আলোকিত করা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার দুই ঐতিহাসিক স্থাপত্য ভিক্টোরিয়া স্টোরি ও ভিক্টোরিয়া। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের রাজধানী ব্রিসবেন শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত আইকনিক সেতু দুটি এবারই প্রথম আলোকিত হলো বাংলাদেশের জন্য।

সোমাবার (২২ মার্চ) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় দুই পাশে সবুজ এবং মাঝখানে লাল রঙের আলো ঝলমলে বাতি জ্বলে ওঠে। মুহূর্তেই উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা, সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করা গর্বের এই লাল-সবুজের ছবিও ছড়িয়ে পড়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

কুইন্সল্যান্ড রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সারা বছরজুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয় এই সেতুগুলোর আলোতে। এ বার স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদ ও বীরাঙ্গনাদের স্মরণে ‘লাইট আপ ব্রিজবেন’ শীর্ষক এ আলোকসজ্জার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ব্রিজবেন প্রবাসী বাংলাদেশি সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিজবেন (ব্যাব)। তাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রাক্বালে পতাকার রঙে সজ্জিত হল এই সেতু দু’টি।

Travelion – Mobile

গৌরবময় এ দৃশ্যের সাক্ষী হতে ব্রিজগুলোর সামনে পতাকা আর লাল-সবুজ পোশাকের সাজে স্থানীয় বাংলাদেশিরা উপস্থিত হন। সন্ধ্যা ৭টায় আলো যখন পূর্ণভাবে জলে উঠে তখন ব্রিসবেন নদীতে আলোতে প্রতিফলিত প্রাণের লাল-সবুজ। এই সময় বাংলাদেশিরা সবাই একসঙ্গে গেয়ে ওঠেন জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’।

ব্রিজবেনে লাল–সবুজের আলোকিত ভিক্টোরিয়া ব্রিজ
ব্রিজবেনে লাল–সবুজের আলোকিত ভিক্টোরিয়া ব্রিজ

আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে ব্রিজবেন সিটি কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ব্রিজবেন সিটি হলে বাংলাদেশের একটি জাতীয় পতাকা উত্তোলনেরও কথা রয়েছে। ওই পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে সিটি কাউন্সিলকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আয়োজক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেনের (ব্যাব) প্রেসিডেন্ট মুনির রহমান বলেন,“একজন গর্বিত বাংলাদশি হিসেবে এই অনুভুতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আমাদের অনেকদিনের প্রচেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে এই আয়োজন করার।”

তিনি আরও বলেন,“এটি আমাদের সূচনা মাত্র। আমরা আগামী দিনে ব্রিসবেন তথা সমগ্র অস্ট্রেলিয়াতে বাংলাদেশকে তুলে ধরব আরও উঁচু থেকে উঁচুতে, যা হবে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দেশের প্রতি দায়িত্ব এবং ভালবাসার দৃষ্টান্ত।”

আরেকজন উদ্যোক্তা ড. জিশু দাস গুপ্ত বলেন, “২০১৮ সাল থেকে ব্রিসবেনে বাংলাদেশ কমিউনিটির সব সদস্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চেষ্টার ফলেই আয়োজন। আমরা চাই এই অর্জন ছড়িয়ে পড়ুক পৃথিবীর সকল আনাচে কানাচে এবং জ্বলে উঠুক বাংলাদেশের নাম।”

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!