৯৮টি ফুটবল মাঠের সমান বিমানবন্দর !
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল নিয়ে চীনের মহাযজ্ঞ
দুয়ার খুলল চীনের মেগা বিমানবন্দর দাক্সিংয়ের। পিপলস রিপাবলিক অব চীনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গেল বুধবার প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ে এই বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। মেগা এই বিমানবন্দর নির্মাণে চীনের লেগেছে পাঁচ বছরেরও কম সময়।
চায়না ডেইলির তথ্য অনুযায়ী ৭ লাখ বর্গমিটারের এই বিমানবন্দর আয়তনে ৯৮টি ফুটবল মাঠের সমান। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ বিলিয়ন ডলার। বলা হচ্ছে, নতুন এই বিমানবন্দরে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টার্মিনাল। ২০২৫ সাল নাগাদ ১৭ কোটি যাত্রী ব্যবহার করবেন এই বিমানবন্দর। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিনেই দাক্সিং দিয়ে অভ্যন্তরীণ সাতটি রুটে বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা যেমন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ক্যাথে প্যাসিফিক ইতিমধ্যেই দাক্সিং থেকে তাদের রুট পরিকল্পনা দিয়েছে।
ইরাকি বংশোদ্ভূত বিট্রিশ স্থপতি জাহা হাদিদ এই বিমানবন্দরের নকশা করেছেন। স্থাপত্য, আধুনিকতা আর সুযোগ-সুবিধায় এ বিমানবন্দর নতুন আলোচনায় জন্ম দিয়েছে বিশ্ব এ্যাভিয়েশন খাতে।
তিয়েনআনমেন স্কয়ার থেকে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এই বিমানবন্দরের অবস্থান। দেখতে অনেকটা তারা মাছের (স্টার ফিশ) মতো হওয়ায় চীনা মিডিয়ার পক্ষ থেকে এই বিমানবন্দরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্টার ফিশ’। ২০২৫ সাল নাগাদ এ বিমানবন্দর দিয়ে ১৭ কোটি যাত্রী এবং ২০ লাখ টন মাল পরিবহন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এই বিমানবন্দরের কারণে ২০২২ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে এ্যাভিয়েশন বাজারে প্রথম স্থানে পৌছে যাবে চীন।
সংবাদ সংস্থা সিএনএনের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যস্ততম বিমানবন্দর হলো বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর। ১৯৫৮ সালে তৈরি বেইজিং ক্যাপিটাল বিমানবন্দর ব্যবহার করে প্রায় ১০ কোটি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার বিমানবন্দরের পরই এর স্থান। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ওই বিমানবন্দরের চাপ কমাতেই এটি তৈরির দরকার পড়ে।