৫ সহকর্মীকে মেরে আত্মহত্যা করলেন ভারতীয় জওয়ান
সার্ভিস রাইফেল থেকে পাঁচ সহকর্মীকে গুলি করে মেরে তারপর আত্মহত্যা করলেন ভারতের আধা সামরিক বাহিনী ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ-আইটিবিপি’র এক জওয়ান।
জওয়ানের গুলিতে আরও ৩ জন গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই জওয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
বুধবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ছত্তীশগড়ের নারায়ণপুর জেলার ছাউনিতে। আইটিবিপি-র ৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের নারায়ণপুরের কাদেনার ছাউনিতে এই ভয়াবহ ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় ভারতজুড়ে৷ মর্মান্তিক ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে আইটিবিপি’র ক্যাম্পে।
আইটিবিপি সূত্রে খবর, সকাল ৯টা নাগাদ রায়পুর থেকে ৩৫০ কিমি দূরে ঔ ছাউনিতে এক জওয়ান আচমকাই নিজের সার্ভিস রাইফেল হাতে তুলে নিয়ে গুলি চালাতে শুরু করেন। মুহূর্তের মধ্যে তাঁর গুলিতে পাঁচ সহকর্মী মটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর জেরে আরও দুই জওয়ান গুলিবিদ্ধ হন। এরপর ওই জওয়ান নিজেকেও গুলি করে আত্মঘাতী হন বলে জানিয়েছেন বস্তার রেঞ্জের আইজিপি পি সুন্দররাজ।
পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের কারণেই সহকর্মীদের গুলি করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই জওয়ান। দীর্ঘদিন ধরে ছুটির আবেদন মঞ্জুর না হওয়ায় তিনি এমন চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গুলির আওয়াজ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আইটিবিপি কর্মকর্তারা। কিন্তু ততক্ষণে নিজেকেও গুলি করে দেন ওই জওয়ান। আহতদের হেলিকপ্টারে করে রায়পুরের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তবে ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে; কোনও কারণে জওয়ানদের মধ্যে বচসার জেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে কী না?।
ভারতের প্রত্যন্ত এলাকায় জওয়ানদের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা দেশে নতুন নয়৷ বছর দুয়েক আগে একটি সরকারি রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, মাও অধ্যুষিত এলাকায় মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষের চেয়ে বেশি অবসাদ ও মশাবাহিত রোগে মৃত্যু বেশি হয়েছে জওয়ানদের৷