৩৯ বছর পর হারানোর আংটির খোঁজ

একটি আংটি হারিয়ে গিয়েছিল। এরপর ক্যালেন্ডারের পাতায় একটি একটি করে মাস বদলেছে, পেরিয়েছে বছর। তা–ও এক কিংবা দুই বছর নয়; টানা ৩৯ বছর। এর মধ্যে মারা গেছেন আংটির মালিক। অবশেষে হারানো সেই আংটি উদ্ধার হয়েছে। সাত বছরের এক শিশু আংটিটি পেয়ে আসল মালিকের স্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নর্থ ডাকোটায়।

ফ্লোরিডাভিত্তিক বার্তা সংস্থা ইউপিআই ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নর্থ ডাকোটার নিউ জনস হ্রদে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিল সাত বছরের শিশু ইসাদোরা রোজ। হ্রদে ঘুরতে গিয়ে শিশুটি স্বচ্ছ পানির নিচে কিছু একটা চকচক করতে দেখে। এরপর সে উজ্জ্বল ওই বস্তুটি পানি থেকে তুলে আনে। দেখা যায়, সেটি একটি পুরোনো আংটি। আংটিতে খোদাই করে সেখানকার একটি বিদ্যালয়ের নাম লেখা ছিল।

Travelion – Mobile

আর লেখা ছিল ‘১৯৮২’ শব্দটি। ওই সময় স্থানীয় ম্যাকক্লাসকি হাইস্কুলের বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের এমন আংটি দেওয়া হয়েছিল।

হ্রদের পানি থেকে আংটি উদ্ধারের পর শিশু রোজের মা রবিন রোজ সেটার ছবি তুলে স্থানীয় একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন। এই পোস্টে আংটির আসল মালিকের সন্ধান চান তিনি। পোস্টটি নজরে এলে ওই এলাকার একজন জানান, হারানো এই আংটি তাঁর এক বন্ধুর। এটির প্রকৃত মালিকের নাম কেরি হেলম। তিনি ম্যাকক্লাসকি হাইস্কুলের হয়ে বাস্কেটবল খেলতেন। সেই সুবাদে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই আংটি পেয়েছিলেন।

এরপর রবিন রোজ আংটি ফেরত দিতে কেরি হেলম ও তাঁর স্বজনদের খুঁজতে শুরু করেন। পেয়েও যান দ্রুত। তবে আফসোস হলো, পাঁচ বছর আগেই মারা গেছেন গেছেন কেরি।

কেরি হেলমের বিধবা স্ত্রী চার্লি হেলমের হাতে ওই আংটি তুলে দিয়েছেন রবিন রোজ। এ সময় চার্লি জানান, ৩৯ বছর আগে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তাঁর স্বামীর আঙুল থেকে হারিয়ে যায় আংটিটি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও এটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রায় চার দশক পরে এসে এটি পাওয়া গেল।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!