সড়ক অবরোধ, হেলিকপ্টারে নোয়াখালীতে পূর্ণিমা
সময়মতো বাসা থেকে বের হয়ে রওনা হয়েছিলেন সড়কপথে। না বেশিদূর যেতে পারেনি। অবরোধ, নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে রাস্তাঘাট বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। অগত্যা ফিরে আসতে হলো। পরে বিকল্প ব্যবস্থায় আকাশপথেই শুটিংস্পটে গেলেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা।
বেসরকারি সংস্থার হেলিকপ্টারে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট ইউনিয়নে সুটিং স্পটে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে ‘গাঙচিল’ ছবির দ্বিতীয় ধাপের শুটিংয়ে অংশ নেন।
বুধবার ( ২০ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালীর সুটিং স্পটে পৌঁছানো কথা জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা বলেন, ‘নোয়াখালীতে “গাঙচিল” ছবির শুটিং শুরু হয়েছে গত ১৭ নভেম্বর। আর শুটিংয়ে আমার অংশ নেওয়ার কথা ছিল গতকাল (বুধবার)। কিন্তু নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে শ্রমিকরা রাস্তাঘাট অবরোধ করে রাখায় যেতে পারছিলাম না। বাসা থেকে বের হয়েও ফিরে আসতে হয়েছে আমাকে। অবশেষে জরুরিভাবে হেলিকপ্টারে করে এখানে এসেছি।’
ছবির নির্মাতা নঈম ইমতিয়াজ নিয়ামূল বলেন, ‘পুরো দিনই নায়িকার অংশের শুটিং। সকাল থেকে নায়িকার অপেক্ষায় পুরো শুটিং ইউনিট বসে ছিল। শুটিং না হলে অনেক টাকা গচ্চা দিতে হবে। তাছাড়া আমরা এবার টানা শুটিং করে ছবির কাজও শেষ করতে চাই। তাই বাধ্য হয়েই হেলিকপ্টারে করে নায়িকাকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ছবিতে উঠে আসবে চরের মানুষের জীবনের গল্প। এতে এনজিওর’কর্মী মোহনা চরিত্রে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা আর সাংবাদিক সাগর চরিত্রে দেখা যাবে ফেরদৌসকে। এতে আর অভিনয় করছেন আসাদুজ্জমান নূর, তারিক আনাম খান, আনিসুর রহমান মিলন, জয়রাজ প্রমুখ।
পরিচালক জানান, এই পর্বে টানা ১৫ দিন শুটিং হবে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট ইউনিয়নের গাঙচিল চরের নাম থেকেই ছবির নাম গাঙচিল রাখা হয়েছে। ছবিতে চরের মানুষের জীবনের গল্প উঠে এসেছে। ছবিটিতে এনজিওর কর্মী মোহনার চরিত্রে অভিনয় করছেন পূর্ণিমা। সাংবাদিক সাগর চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস। আরও অভিনয় করছেন আসাদুজ্জমান নূর, তারিক আনাম খান, আনিসুর রহমান মিলন ও জয়রাজ প্রমুখ।