স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন

স্পেনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীর উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচী শুরু করেন।

পরে দূতাবাস সভাকক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ।

Travelion – Mobile

সভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে কাউন্সেলর ও চার্জ দ্য’ অ্যাফেয়ার্স এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ ও প্রথম সচিব (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল।

কাউন্সেলর ও চার্জ দ্য’ অ্যাফেয়ার্স এটিএম আব্দুর রউফ মন্ডল তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং জাতীয় শিশু দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, ১৭ মার্চ দিনটি লক্ষ শিশুর মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গড়ে উঠার প্রতীকী দিন। টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া যে ছোট খোকা একদিন বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির মহানায়কে রূপান্তরিত হয়েছিলেন, তাঁর ভালবাসার শিক্ষা ও অধিকার আদায়ের চেতনা থেকে সকলকে শিক্ষা নেওয়ার আহবান জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকরণে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশুদের জন্য আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সদসবৃন্দ, মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করে দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানে কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ, প্রথম সচিব (শ্রম) মুতাসিমুল ইসলামসহ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!