সৌদি আরবে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

সৌদি আরবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

শনিবার সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজধানী রিয়াদে দূতাবাস চত্বরে শহিদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলসহ প্রবাসী সংগঠনের পক্ষে শহিদ শেখ কামালের  প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলসহ প্রবাসী সংগঠনের পক্ষে শহিদ শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ ছাড়া, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলসহ বিভিন্ন প্রবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

Travelion – Mobile

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একজন সৃজনশীল উদ্যমী প্রাণবন্ত তরুণ, যিনি মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন, একজন সংগঠক হিসেবে ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন, সংগীত, নাটক, সংস্কৃতিতে ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তরুণদের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

“স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ শহিদ শেখ কামাল যুব সমাজকে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করে একটি আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন”।

 অলোচনায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ২ শিক্ষার্থী
অলোচনায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ২ শিক্ষার্থী

রাষ্ট্রদূত বলেন, ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শেখ কামাল সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। শেখ কামাল ছিলেন ৬১ জন সৌভাগ্যবান তরুণদের একজন যারা বাংলাদেশ ফার্স্ট ওয়ার কোর্স সমাপন করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে কমিশন লাভ করেন।

‘ঘাতকের বুলেট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। শেখ কামালের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে’ রাষ্ট্রদূত যোগ করেন।

শহীদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
শহীদ শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

তিনি, প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে ক্যাপ্টেন শহিদ শেখ কামালের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার আহবান। সে সঙ্গে তাঁর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরারও আহবান জানান রাষ্ট্রদূত।

দূতাবাসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল জাতীয় কারিকুলামের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সামিয়া ফরহাদ তানহা ও ইংরেজি শাখার ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রোজানা মারিয়াম ক্যাপ্টেন শহিদ শেখ কামালের জীবনের ওপর আলোচনা করে।

এছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন ও আওয়ামী পরিষদের সভাপতি এম আর মাহাবুব দিবসটি উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন।

শুরুতে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং জাতির সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!