সৌদিকন্যার সঙ্গে জর্ডান যুবরাজের রাজকীয় বিয়ে
বিশ্ব
জর্ডানের বাদশা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ও রানি রানিয়ার বড় ছে লে যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) হুসাইন ইবনে আবদুল্লাহ (২৮) বিয়ে করছেন সৌদি আরবের তরুণী রাজোয়া আল-সাইফকে (২৮)।
সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রাজোয়া আল-সাইফের বাড়িতে জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ ও রাণী রানিয়াসহ দেশটির রাজপরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়।
২৮ বছর বয়সী রাজোয়া সৌদি ব্যবসায়ী খালিদ বিন মুসাদ এবং তার স্ত্রী আজ্জা বিনতে নায়েফ আব্দুল আজিজ আহমেদ আল-সুদাইরির কনিষ্ঠ কন্যা। রাজোয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা রিয়াদে হলেও, তিনি পড়াশোনা করেছেন নিউইয়র্কে। নিউ ইয়র্কের সিরাকিউজ ইউনিভার্সিটির কলেজ অফ আর্কিটেকচারে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন নতুন রাজবধু। পাশাপাশি লস অ্যাঞ্জেলেসের ফ্যাশন ইনস্টিটিউট অফ ডিজাইন অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজিং থেকে ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশনে ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং এর আগে তিনি এলএ-তে একটি আর্কিটেকচার ফার্মে কাজ করেছেন।
ক্রাউন প্রিন্স হুসাইন, ওয়াশিংটন ডিসির জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। মূলত সেখানেই তাদের পরিচয় ও প্রেম।
বিয়ের খবরটি উদযাপন করার জন্য, “হুসেন নিজের এবং তার কনে-এর একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ। আমরা প্রার্থনা করি যে,মহান আল্লাহতায়লা আমাদেরকে তাঁর আশীর্বাদ দান করুন। আমার প্রিয় জর্ডানের পরিবারের প্রতি তাদের আন্তরিক সমর্থন এবং সদয় শুভেচ্ছার জন্য কৃতজ্ঞ”।
রানী রানিয়া সুখী দম্পতিকে অভিনন্দন জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে তার নিজস্ব পোস্ট করেছেন, যার মধ্যে বাগদানের ফটোগুলির ক্যারোসেল রয়েছে।
“আমি মনে করিনি যে, আমার হৃদয়ে এত আনন্দ রাখা সম্ভব!” তিনি আরও লিখেছেন,”আমার বড় প্রিন্স হুসেইন এবং তার সুন্দরী বধূ রাজওয়াকে অভিনন্দন”
তিনি নিজের এবং রাজওয়ার একটি ছবিও ক্যাপশন সহ শেয়ার করেছেন, “আমার তৃতীয় কন্যা, আল হুসেনের নববধূ রাজওয়াকে পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত! আমরা দুজনের জন্য খুব খুশি।”
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও এ জুটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সৌদি যুবরাজ তাদের সুখী দাম্পত্য জীবন ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
আরও পড়তে পারেন : সৌদির আকাশপথ দিয়ে গেল প্রথম ইসরাইলি ফ্লাইট
এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটির সম্পর্কের টানাপোড়েন দূর হবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।
এর আগে সিরিয়া ও মধ্যপ্রচ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে সৌদি-জর্ডান সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। কিন্তু যুবরাজের বিয়েকে কেন্দ্র করে আবারও কাছাকাছি আসছে দেশ দুটি।