চীনের ২৬ ফ্লাইট বাতিল করে পাল্টা জবাব দিল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনগামী চারটি চীনা এয়ারলাইনস কোম্পানির ২৬টি ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। খবর রয়টার্সের।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কথা বলে চীন সরকার মার্কিন এয়ারলাইনসের ২৬ ফ্লাইট বাতিল করার পর বৃহস্পতিবার এমন ঘোষণা দিল ওয়াশিংটন।

মার্কিন পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, সম্প্রতি কোভিডের কারণে চীনে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ডেলটা এয়ারলাইনস ও ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ২৬টি ফ্লাইট বাতিল হয়। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Travelion – Mobile

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারণে চিয়ামেন, এয়ার চায়না, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস এবং চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের ২৬টি ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাবে। ৫ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব ফ্লাইট চলাচলের কথা ছিল।

বাতিল হওয়া চীনা ফ্লাইটগুলোর মধ্যে ১৯টি লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে এবং ৭টি নিউইয়র্ক থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করা হয়নি।

আরও পড়তে পারেন : সৌদির আকাশপথ দিয়ে গেল প্রথম ইসরাইলি ফ্লাইট

মার্কিন পরিবহন মন্ত্রণালয় বলছে, ৭ আগস্ট চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের নীতিমালায় সংশোধনী এনেছে। সংশোধনী অনুযায়ী, চীনগামী কোনো ফ্লাইটের মোট যাত্রীর সংখ্যার ৪ শতাংশের করোনা পরীক্ষার ফলাফল যদি পজিটিভ আসে, তবে একটি ফ্লাইট বাতিল হবে। আর যদি আক্রান্তের সংখ্যা ৮ শতাংশে পৌঁছায়, তবে দুটি ফ্লাইট বাতিল হবে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকার বারবারই চীন সরকারের এ বিধির বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছে। কেননা, এ বিধি অনুযায়ী যাত্রীরা বিমানে ওঠার আগে নেগেটিভ থাকলে এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর পর পজিটিভ হলে অহেতুক এর দায় এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের ওপর চাপবে।

করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে বিমান চলাচল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে বিভিন্ন সময়ে বিরোধে জড়াতে দেখা গেছে। ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন পরিবহন মন্ত্রণালয় চার সপ্তাহের জন্য চীনের এয়ারলাইনসগুলোর চারটি ফ্লাইটের যাত্রী বহনের সক্ষমতা সীমিত করেছিল। বলা হয়েছিল, মোট সক্ষমতার ৪০ শতাংশ যাত্রী বহন করতে পারবে তারা।

ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের চারটি ফ্লাইটে চীনের পক্ষ থেকে সীমাবদ্ধতা আরোপের পর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা।

সম্প্রতি ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণার আগপর্যন্ত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি এবং চীনের চারটি এয়ারলাইনস কোম্পানির প্রায় ২০টি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে চলাচল করছিল। আর করোনা মহামারির আগে ফ্লাইট চলাচলের এ সংখ্যা শতাধিক ছিল।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!