লেবাননে বাংলাদেশি কর্মীদের বেতন সমস্যা নিরসনে দূতাবাসের উদ্যােগ
লেবাননে শহীদ রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্লিনিং কোম্পানির অধীনে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা বকেয়া বেতন পরিশোধ নিয়ে জটিলতা নিরসনে উদ্যােগ নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাজধানী বৈরুতে বাংলাদশ দূতাবাসের পক্ষ তাৎক্ষনিকভাবে কোম্পানিটির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
এ লক্ষ্যে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) কোম্পানটির কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিক পক্ষের মধ্যে বৈঠকের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাসের শ্রম সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,’কোম্পানটির ম্যানেজারসহ কর্তৃপক্ষের সাথে আমরা যোগাযোগ করেছি। আগামীকাল সকালে তারা দূতাবাসে আসবে। সেখানে শ্রমিকদের পক্ষ থেকেও তাদের প্রতিনিধি থাকবে। আশা করছি দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা সমাধান হবে।’
তিনি বাংলাদেশি শ্রমিকদের কাজে যোগদানেরও অনুরোধ জানান। এর প্রেক্ষিতে রাতের সিফটের অধিকাংশই শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বকেয়া বেতন ডলার বা স্থানীয় মুদ্রা লিরার বর্তমান বাজারমূল্যে পরিশোধের দাবিতে শতাধিক বাংলাদেশি কাজে যোগ না দিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে বিক্ষোভ করে।
ক্লিনিং কোম্পানির লিবান নেটের অধীনে এইসব প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক বিমানবন্দরে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছিল। গত ৩ মাস যাবত তাদের বেতন ডলারে পরিশোধ করার কথা থাকলেও কোম্পানিটি ডলারে বেতন পরিশোধ না করে স্থানীয় মুদ্রা লিরার আগের বাজার মূল্যদরে পরিশোধ করতে চায়।
এতে শ্রমিকরা বিক্ষোভে প্রদর্শন করে এবং দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ থেকে বিরত থাকারও ঘোষণা দেয়।
ভুক্তভোগী শ্রমিকরা জানায়, ’কোম্পানিটি শ্রমিকদের বেতন ডলারে পরিশোধ না করলেও স্থানীয় মুদ্রা লিরার যে বাজার মূল্য, সে মূল্য প্রদানে দাবি করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদেরকে লিরার আগের মূল্যেই বেতন পরিশোধ করতে চাইলে তারা বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই দেশটিতে মার্কিন ডলার সংকট দেখা দেয়। আগে লিরাকে ডলারে রুপান্তরিত করতে প্রতি ১০০ শত ডলারে দেড় লাখ লিরা লাগতো। ডলার সংকট শুরুর পর তা সাম্প্রতিক সময়ে ২ লাখ ৫০ হাজার লিরা পর্যন্ত পৌঁছেছে।
