বিনিয়োগ ও রপ্তানি বাড়াতে রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে সেখানে দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত রাজধানী আবুধাবির হোটেল শাংগ্রিলায় অনুষ্ঠিত দূত সম্মেলনে (এনভয় কনফারেন্স) এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী ।

সম্মেলনে অংশ নেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) কে এম মমিনুর রহমান, লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার, ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. গোলাম সারোয়ার ইরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার, ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ এম এম ফরহাদ, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম, এবং কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ।

Travelion – Mobile

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

রাষ্ট্রদূতদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগ ও রপ্তানি বিষয়ে দেখতে হবে কোন দেশে কি চাহিদা এবং সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কীভাবে রপ্তানি বাড়ানো যায়, কীভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকর্ষণ করা যায় সেভাবে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা একটা নীতিমালা দিয়ে গেছেন। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়।

তিনি বলেন, অনেক সময় বন্ধুপ্রতীম দেশের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়, সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে নিতে হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন ডিপ্লোমেসিতে প্রথমেই চিন্তা করতে হবে পৃথিবী এখন একটা গ্লোবাল ভিলেজ। সবাই সবার ওপর নির্ভর করছে, সবাই সবার সহযোগিতা নিয়ে চলছে।

জাতির পিতা জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উপলক্ষে মুজিববর্ষ (১৭ মার্চ, ২০২০ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১) উদযাপন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষ পালন এটা আমাদের একটা সৌভাগ্য। দেশে অনেক প্রোগ্রাম হবে। বিদেশে যারা আছেন এখানেও প্রোগ্রাম করতে হবে। সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

দেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী সে কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগে আমাদের অনেক কসরত করে দাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে হতো, আমরা সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছি। এখন আমরা দাতা বলি না কাউকে, এখন তারা হচ্ছে আমাদের উন্নয়ন সহযোগী।

দারিদ্র্য হ্রাসের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এই পরিশ্রমের ফলে দারিদ্র্যসীমা ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আরও ৩ শতাংশ কমিয়ে আনতে চাই। এটা করতে দ্রুত চেষ্টা করতে হবে।

নারীর ক্ষমতায়ন, ব্লু ইকোনোমি, বিমান বহরে নতুন এয়ারক্র্যাফট সংযোজনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!