লেবাননে প্রথম বঙ্গবন্ধু পাঠাগার স্থাপন, দূতাবাসের উদ্যোগ
বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস আর স্থপতির আত্মজীবনী এখন থেকে জানতে পারবে এশিয়ার শেষ প্রান্তের দেশ ভুমধ্যসাগর পাড়ের লেবাবনের নতুন প্রজন্ম। কারণ দেশটিতে এই প্রথমবারের মতো চালু করা হল “বঙ্গবন্ধু পাঠাগার”।
মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগ চালু করা হয় এই পাঠাগার।
দূতাবাস আঙ্গিনা নয়, এটি চালু করা হয়েছে রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্রে একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, যাতে করে এ দেশের নতুন প্রজন্ম ‘বাংলাদেশ’-এর সঙ্গে পরিচয় হতে পারে।
রাজধানী বৈরুতের জিব্রান এন্ড্রাউস টুয়েনি পাবলিক কলেজে এই পাঠাগারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার।
এসময় কলেজের প্রিন্সিপাল, বৈরুত দূতাবাসের শ্রম সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং অসংখ্য ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন,বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এবং মহান স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী বিশ্বের বুকে সামনে তুলে ধরতেই ‘‘বঙ্গবন্ধু পাঠাগার” স্থাপনের এই উদ্যোগ।
তিনি বলেন, বিদেশের নতুন প্রজন্ম এখান থেকে জানতে পারবে বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্ম, স্থপতির আত্মজীবনী, ইতিহাস, ঐতিহ্যে আর এগিয়ে চলার গল্প, যা তাদের মুক্ত জ্ঞান চর্চায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
তিনি সংক্ষিপ্তভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, লেবাননের আরো কয়েকটি স্কুল ও কলেজে আমরা বঙ্গবন্ধু পাঠাগার স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়াও বৈরুত দূতাবাসেও “বঙ্গবন্ধু কর্ণার” নামে আরো একটি পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।