লেবাননে কূটনীতিকদের সম্মানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা

লেবাননে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

শনিবার (২৬ মার্চ)সন্ধ্যায় রাজধানী বৈরুতের লেনচেস্টার ইডেন বে হোটেলের বলরুমে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লেবাননের অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমিন সালাম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, লেবাননের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ-লেবানন ফ্রেন্ডশিপ পার্লামেন্টারি গ্রুপের সভাপতি ইয়াসীন জাবের, সংসদ সদস্য সামি ফাতফাত, পররাষ্ট্র ও অভিবাসী মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল প্রধান আবির আলী ও বৈরুতের গভর্ণর বিচারক মারোয়ান আব্বুদ।

Travelion – Mobile

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান পিএসসি, দূতাবাসের প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তৃতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল সাফি অতিথিদের স্বাগত জানান বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন  লেবাননের অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমিন সালাম ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান পিএসসি ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন লেবাননের অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমিন সালাম ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান পিএসসি ।

লেবাননের অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমিন সালাম তাঁর শুভেচ্ছা বক্তব্যের শুরুতে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছো জানান এবং ভ্রাতপ্রতিম দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

২০০৬ সাল থেকে লেবাননে জলসীমায় জাতিসংঘের শান্তি মিশন ইউনিফিলে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের এই সহায়তা লেবাননের সরকার ও জনগণ কৃতজ্ঞতা এবং গর্বের সঙ্গে স্মরণ করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মেডিকেল, এনার্জি ও কৃষি খাতে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। অন্যদিকে লেবানন নতুন বাজার খুজছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ হতে পারে উপযুক্ত গন্তব্য। আর এর মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সর্ম্পক আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আত্মত্যাগী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতি ও বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড এবং বিদেশি বিনিযোগকারীদের জন্য ইকোনোমিক জোনসহ নানা সুযোগ সুবিধাগুলো তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ ও লেবাননে বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে সংবর্ধনা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা
বাংলাদেশ ও লেবাননে বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে সংবর্ধনা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা

রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশ ও লেবানন দুইটি ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং আমাদের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় লেবাননের সরকার ও জনগণের সমর্থন এবং স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেওয়া, আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।

অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদেরকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রসহ লেবাননের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, অষ্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ভারতসহ প্রায় ৩৫টি দেশের কূটনীতিক, ইউনিফিলের ফোর্স কমান্ডার ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিনিধিদল এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতারা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!