লন্ডনে কন্টেইনারে মিলল মানুষের ৩৯টি মরদেহ !
চোখ কপালে উঠে লন্ডন পুলিশের। হতবাক, বিস্মিত বৃটিশ পুলিশবাহিনী। তোলপাড় পুরো বিশ্বে। লন্ডন পুলিশের হাতে আটক ট্রেলারে (বড় ট্রাক) বহন করা কন্টেইনারে মিলল মানুষের ৩৯টি মরদেহ। এ ঘটনায় যুক্তরাজ্যবাসী শুধুই নয় হতবাক পুরো বিশ্ব।
পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য “এটা শিউরে ওঠার মতো একটা ঘটনা।” ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতিক্রিয়া “এই ঘটনা ভয়াবহ।” এ নিয়ে সামাজিক যোগোযােগ মাধ্যমে আলোচনা ঝড় বিশ্বজুড়ে।
বুধবার ২৩ অক্টোবর পূর্ব লণ্ডন থেকে একটি ট্রেলার আটক করে অ্যাসেক্স পুলিশ, যার কন্টেইনারে মিলেছে ৩৯টি মরদেহ। আটক করা হয়েছে ট্রেলারের চালককে।
দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, বুলগেরিয়া থেকে আসা ট্রেলারে কন্টেইনারে ভেতরে পাওয়া মরদেহগুলির মধ্যে ৩৮জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের। আর একটি মরদেহ এক কিশোরের।
পুলিশ জানায়, ট্রেলারের চালক আয়ারল্যান্ড নিবাসী বছর ২৫-বয়েসী যুবকই পূর্ব লন্ডনের শিল্পতালুক এলাকায় ট্রেলারটি চালিয়ে নিয়ে আসছিল বলে জানা গিয়েছে। অ্যাসেক্স পুলিশের সুপারিটেন্ডেন্ট অ্যান্ড্রু ম্যারিনার বলেন, “যেখানেই ঘটে থাকুক, এটা শিউরে ওঠার মতো একটা ঘটনা।”
ব্রিটিশ পুলিশের উধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, শিল্পতালুক এলাকায় এক অ্যাম্বুলেন্স চালক সন্দেহের বশেই কন্টেইনারবাহী ট্রেলারটির খবর দেয় পুলিশকে। সেই সূত্র ধরে লন্ডনের স্থানীয় সময় অনুযায়ী রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ ট্রাকটিকে আটক করে অ্যাসেক্স পুলিশের একটি দল। তারপর কন্টেইনার খুলে দেখা যায়, তাতে বোঝাই করা মানুষের মরদেহের স্তুপ!
পুলিশের অনুমান গত শনিবার উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের যে বাণিজ্য করিডর রয়েছে, সেখান দিয়েই গত শনিবার এই ট্রেলারটি ব্রিটেনের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। গোটা ঘটনায় সন্দেহ ঘণীভূত হয়েছে ট্রেলার চালককে নিয়েই। তাই তাকে জেরা করেই উৎসে পৌঁছতে চাইছে ব্রিটিশ পুলিশ।
অ্যাসেক্স পুলিশের সুপারিটেন্ডেন্ট ম্যারিনার আরও বলেন, “আমাদের তদন্ত চলছে। জানার চেষ্টা চলছে এই ঘটনা কোথাকার। মরদেহগুলি কোনও বড় পরিবারের কিনা ব্রিটিশ তাও, খতিয়ে দেখা হচ্ছে”
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এই ঘটনা ভয়াবহ।” এ নিয়ে যুক্তরাজ্যসহ সারাবিশ্বে সামাজিক যোগোযােগ মাধ্যমে আলোচনা ঝড় উঠেছে।