জার্মানিতে লকডাউনের মধ্যেও প্রতিদিন ব্যাপকহারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ২ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী হালকা লকডাউনসহ বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে দেশটিতে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ৫৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জার্মানির সংক্রামক রোগ বিষয়ক সংস্থা রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট। যা করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর রেকর্ড। আর এদিন দেশটিতে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৮১৫ জন।
আশানুরূপভাবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় চলমান লকডাউন আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে কঠোর লকডাউনের প্রস্তাব করেছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল।
রেস্টুরেন্ট-বার, ফিটনেস স্টুডিও, সুইমিংপুল, থিয়েটার আপাতত ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আসন্ন বড়দিনের উৎসবকে ঘিরে দেশটির সবগুলো ক্রিসমাস বাজার বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের সঙ্গে জার্মানভিত্তিক কোম্পানি বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনটি ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করার জন্য জার্মানিজুড়ে শতাধিক ভ্যাকসিন কেন্দ্র আগামী সপ্তাহের মধ্যেই প্রস্তুত হবে।
চলতি মাসের মধ্যেই অথবা নতুন বছরের শুরুর দিকে জার্মানিতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
