যুক্তরাজ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে লাল সবুজে আলোকিত ‘লন্ডন আই’

বাংলাদেশের স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে লাল-সবুজ রঙে আলোকিত হলো যুক্তরাজ্যের আইকনিক স্থাপনা ‘লন্ডন আই’। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের রাজকীয় গির্জা ‘ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবে’-র শীর্ষে উত্তোলন করা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। বাংলাদেশ হাইকমিশন ভবনও সজ্জিত হয়েছে জাতীয় পতাকার লাল-সবুজের আলোকসজ্জায়।

লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে উদ্যোগে এমন সব বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) লন্ডন হাইকমিশনে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এরপর মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে দোয়া করা হয়।

লন্ডনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম
লন্ডনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম

লন্ডন সময় বিকেল ৩টায় স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি দিবস উপলক্ষে হাইকমিশনের উদ্যোগে ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পঞ্চাশ বছরের কূটনীতিক সম্পর্ক শীর্ষক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ মন্ত্রী, এমপি ও রাজনীতিবিদসহ ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ করেন।

Travelion – Mobile

হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম জাতির পিতা ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সব শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অসাধারণ অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বে বাংলাদেশে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজ তাঁরই নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত হওয়ার দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

২০২১ সালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার দু’দেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্ব ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া হাইকমিশনার ও টাওয়ার হেমলেটসের মেয়র জন বিগস সকালে ‘বাংলা টাউন’ নামে খ্যাত পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক আলতাব আলী পার্কে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে লন্ডনে নয় মাসব্যাপী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তি উদযাাপনের সূচনা করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!