মেক্সিকোতে বর্ণিল আয়োজনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মেক্সিকোতে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে ‘রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী’ ।

বাংলাদেশ দূতাবাস, ভারতীয় দূতাবাস এবং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (জিটিআইসিসি) সম্মিলিতভাবে এ আয়োজন করে।

সঙ্গীত পরিবেশনায় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং বাংলাদেশি শিল্পী রাইসা আহমেদ ও  তানহা তাবাসসুম এবং  আবৃত্তিতে দূতাবাসের কাউন্সেলর শাহনাজ রানু।
সঙ্গীত পরিবেশনায় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং বাংলাদেশি শিল্পী রাইসা আহমেদ ও তানহা তাবাসসুম এবং আবৃত্তিতে দূতাবাসের কাউন্সেলর শাহনাজ রানু।

শনিবার (১৫ জুলাই) রাজধানী মেক্সিকো সিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত ড. পঙ্কজ শর্মা ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূতরা তাদের বক্তব্যে বাঙালি জাতির সংস্কৃতির চিন্তা-চেতনা-মনন ও দর্শনে রবীন্দ্র-নজরুলের লিখনীর অবদান তুলে ধরেন।

Travelion – Mobile

তারা, রবীন্দ্র-নজরুলকে দুই দেশের অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে তাদের লিখনীর প্রভাবের ইতিহাসও তুলে ধরেন।

মেক্সিকোতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারত, বাংলাদেশ ও মেক্সিকান শিল্পীদের সংস্কৃতিক পরিবেশনা। ছবি: সংগৃহীত
মেক্সিকোতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারত, বাংলাদেশ ও মেক্সিকান শিল্পীদের সংস্কৃতিক পরিবেশনা। ছবি: সংগৃহীত

অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে মেক্সিকান শিল্পী কানাই ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী অর্জুনের যুগলবন্দি পরিবেশনার সঙ্গে ছিল মেক্সিকান নৃত্যশিল্পী আর্নেস্ট দেলা তেজা এবং ভেরনিকার নৃত্য উপস্থাপনা।

জিটিআইসিসির পরিচালক রাজ ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর শাহনাজ রানুর বাংলা ও স্প্যানিশ ভাষায় রবীন্দ্র ও নজরুলের কবিতা আবৃত্তি এবং সেইসঙ্গে বাংলাদেশের শিল্পী তানহা তাবাসসুম ও রাইসা আহমেদের রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।

মেক্সিকোতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ শিল্পীরা। ছবি : সংগৃহীত
মেক্সিকোতে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ শিল্পীরা। ছবি : সংগৃহীত

এছাড়াও অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত উপস্থাপনা এক চমৎকার আবহ সৃষ্টি করে।

বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ১৫০ জন দর্শক শ্রোতা ও স্থানীয় অতিথিরা এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!