মালয়েশিয়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত

যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধের কারণে অনুষ্ঠানে শুধু দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

রোববার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।

দিবসের আলোচনা সভার শুরুতে কোরআন তিলাওয়াতের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এরপর ৭ মার্চের ওপর রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন ডেপুটি হাইকমিশনার মো. খোরশেদ আলম খাস্তগীর ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম।

Travelion – Mobile

দূতাবাসের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) ও দূতালয প্রধান রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মোস্তাক আহমেদ, শ্রম শাখার কাউন্সেলর (২) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, কাউন্সেলর মাসুদ হোসাইন, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার কাউন্সেলর মো. মশিউর রহমান তালুকদার, বাণিজ্য শাখার কাউন্সেলর মো. রাজিবুল আহসান, দূতাবাসের কাউন্সেলর তাহমিনা ইয়াছমিন, শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. ফরিদ আহমদসহ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ৭ মার্চ এক অনন্য ও উজ্জ্বল দিন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তির কান্ডারী ও রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধু রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ বাংলাদেশের লাখো জনতাকে শুনিয়েছিলেন মুক্তির বাণী, প্রদান করেছিলেন মুক্তি সংগ্রামের সুস্পস্ট নির্দেশনা।

তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মুক্তিপাগল জনতা দেশ স্বাধীনের প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল।

বাংলাদেশ হাইকমিশনে দূতাবাসের ফেসবুক পেজে লাইভ প্রচার করে প্রবাসীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!