মালয়েশিয়ায় আটক প্রবাসীদের দেশে ফেরাতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ফ্রি বিমান টিকিট

মালয়েশিয়া ক্যাম্পে আটক প্রবাসীদের দেশে ফেরাতে ফ্রি বিমান টিকিট দেবে, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়া শাখা।

২৩ অক্টোবর সোমবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ অসহায় প্রবাসীদের প্রত্যাবর্তনে হাইকমিশনের মিনিস্টার লেবার মো: নাজমুছ সাদাত সেলিমের হাতে ৩ টি ফ্রি বিমান টিকিট তুলে দেন বঙ্গন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি দাতু আব্দুল রউফ লিটন।

এ সময় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ ফারুক, সহ-সভাপতি আব্দুল বাতেন, সহ-সভাপতি ব্যবসায়ী মো: খাইরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মো: জান্নাতুল ফেরদৌসসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

Travelion – Mobile

সভাপতি দাতু আব্দুল রউফ লিটন এ সময় বলেন, হাইকমিশনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সবসময় প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করে যাবে।

সোমবার ফ্রি বিমান টিকিট দেওয়ার পর দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

সাক্ষাতে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে হাইকমিশনার মো: শামীম আহসানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান নেতারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনের মিনিষ্টার (শ্রম) নাজমুস সাদাত সেলিম কাউন্সিলর কন্সুলার মো: রাসেল রানা, প্রথম সচিব প্রেস উইং সুফী আব্দুল্লাহিল মারুফসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
মালয়েশিয়ায় চাকরি নিয়ে যাওয়ার পর যেসব বাংলাদেশীর ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে সাজা ভোগ করার পরেও বিমান টিকিট ক্রয় করতে না পারায় দীর্ঘদিন জেলবন্দি ও ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রয়েছেন এমন অসহায় বাংলাদেশী প্রবাসীদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করানোর জন্য বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিবাসীদের বৈধ পারমিট ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস না থাকলে দেশটির আইনশৃঙ্খলা-রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে প্রথমে ১৫ দিনের জন্য রিমান্ডে রাখা হয় বালাই পুলিশের থানাতে। ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের বিররুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত অপরাধের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ঘোষণা করে জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়। জেলের সাজা উত্তীর্ণ হলে পাঠিয়ে দেয়া বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য। সাজার মেয়াদ শেষ হলেও অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে মালয়েশিয়ার সরকার বা জেল কর্তৃপক্ষ কোনো টিকিটের ব্যয়ভার বহন করে না। তখন বছরের পর বছর ডিটেনশন ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়।

ক্যাম্পে বন্দি থাকা অবস্থায় আত্বীয়-স্বজন বা বাইরের কারোর সাথে যোগাযোগ করতে পারে না একমাত্র সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস কর্মকর্তা ছাড়া। তখন কোনো বিত্তবান বা কমিউনিটির লোকজন টিকিট ক্রয় করে দূতাবাসের মাধ্যমে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলে তখন ওই বন্দিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে থাকে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ। তবে মালয়েশিয়া ডিটেনশন ক্যাম্পের ভিতরের ভয়াবহতা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা দেশটির আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ ।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!