বাহরাইনে বাংলাদেশি পণ্যে নিতে আগ্রহী আমদানিকারকরা

বাংলাদেশ থেকে সম্ভাবনাময় ও মানসম্পন্ন পণ্য আমদানিতে বাহরাইনের আমদানিকারকরা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। লুলুর মতো বিখ্যাত চেইন শপিংমল কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য দ্রুতই আমদানি সম্ভব বলে অভিমত জানিয়েছে।

বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষস্থানীয় চেইন সুপারমার্কেট লুলু হাইপারমার্কেট ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রপ্তানিকারকদের মধ্যে আজ আড়াই ঘন্টা ব্যাপী অনলাইন সেমিনারের এই অভিমত ওঠে আসে।

বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মাদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্ব সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন লুলু হাইপার মার্কেট বাহরাইনের পরিচালক যুযের রুপাওয়ালা। দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. রবিউল ইসলামের পরিচালনায় আরো অংশ নেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আব্দুর রহিম খান।

Travelion – Mobile

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে রাষ্ট্রদূত ড. নজরুল ইসলাম বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নে তার পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করেন এবং দূতাবাসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

এসময় লুলু গ্রুপের পরিচালক রুপাওয়ালা এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রদূতকে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,”অনেকদিন ধরেই এমন উদ্যোগের অপেক্ষায় ছিলাম। কারণ বাংলাদেশ থেকে সম্ভাবনাময়, মানসম্পন্ন পণ্য আমদানিতে আমাদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।”

প্রধান অতিথি ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম আহসান বাহরাইনের সম্ভাবনাময় বাজারকে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবেশদ্বার উল্লেখ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, গুণগত মানে ও আকর্ষণীয় দামে বাংলাদেশের পণ্য পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার মতো বাহরাইনের বাজারেও অচিরেই বিশেষ অবস্থান দখল করে নেবে।

অনুষ্ঠানের মূল পর্বে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন প্রাণ এগ্রো, স্কয়ার ফুড এন্ড এগ্রো, বাংলা ফুড এন্ড বেভারেজ, এ.এম.জি.এস, হা-মীম গ্রুপ, স্কয়ার টেক্সটাইল, শাইনপুকুর সিরামিকস, ই এস গ্রুপ, এপেক্স ফুটওয়্যার, হাতিল ফার্নিচার, ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স, আলম ফাইবার ও আর এফ এল গ্রুপ। তারা প্রত্যেকেই নিজেদের কোম্পানির পাওয়ার পয়েন্ট ও ভিডিও প্রেজেন্টেশন করেন, যাতে লুলু হাইপার মার্কেট কর্তৃপক্ষ চমৎকৃত হয় এবং আমদানির পক্ষে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করে।

“মেইড ইন বাংলাদেশ”- স্লোগানকে সামনে রেখে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আলোচনায় তাদের সম্ভাবনা, সক্ষমতা, ব্যবসায়িক সাফল্য ও পণ্যের পরিচিতি গুণগত মান তুলে ধরে।
লুলু গ্রুপের পক্ষে প্রধান ক্রয় কর্মকর্তা মাহেশ, ও ইমপোর্ট ম্যানেজার রাজ্জাক বাংলাদেশি অংশগ্রহণকারীদের চমৎকার উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে দূতাবাসের মধ্যস্থতায় মানসম্পন্ন পণ্য আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন ও সব ধরনের প্রক্রিয়াগত সহযোগিতার জন্য দূতাবাসকে অনুরোধ জানান। পরিচালক যুযের রুপাওয়ালা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে দ্রুতই বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানের শেষে কাউন্সেলর রবিউল ইসলাম সকল ব্যবসায়ীদেরকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দানের পাশাপাশি দূতাবাস ও আমদানিকারক কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে অনুরোধ করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!