বার্সেলোনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন

স্পেনের বার্সেলোনায় পূজা দে ফিয়েস্তার আয়োজনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা পালিত হয়েছে।

বার্সেলোনার স্থানীয় একটি হলরোমে অস্থায়ী পূজা মন্ডপে বার্সেলোনায় বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে উৎসবমূখর পরিবেশে এই উৎসব করা হয়।

এ বছর পূজা পরিষদ দেবীর আরাধনা করছে পঞ্জিকার তীথি অনুযায়ী। গত পহেলা অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া উৎসব শেষ হয় ৪ অক্টোবর।

বার্সেলোনায়  দুর্গাপূজা মণ্ডপে বাংলাদেশের অনারারি কন্সুলার রামন পেদ্র বারনাউস, স্থানীয় প্রবাসী কমিউনিটির নেতা ও সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রবাসীরা।
বার্সেলোনায় দুর্গাপূজা মণ্ডপে বাংলাদেশের অনারারি কন্সুলার রামন পেদ্র বারনাউস, স্থানীয় প্রবাসী কমিউনিটির নেতা ও সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রবাসীরা।

নানামাত্রিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শারদীয় উৎসবে চলছে দেবী দুর্গার আরাধনা। আলোকসজ্জ্বল আর সূক্ষ্ম ছোঁয়ায় সাজানো হয়েছে পুরো পূজামণ্ডপ।

Travelion – Mobile

আরও পড়তে পারেন : ফ্রান্সে আনন্দ উৎসবে পালিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা

বার্সেলোনা শহরের বাইরে থেকেও দেবীকে ভক্তি দিতে আসছেন অনেক সনাতন ধর্মের লোক। শিশু কিশোররা মেতে উঠেছেন নাচে গানে নৃত্যের তালে।

শারদীয় দুর্গোৎসবে পুজা দে ফিয়েস্তা বাঙ্গালী নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন সুভ্রত পাল, শংকর দেবনাথ, উত্তম কুমার, আশুতোষ দে,সুমন সাহা,পার্থ দেব,কাঞ্চন, জয়দীপ রয়, পলাশ রয় সহ আরো অনেকে।

বার্সেলোনায়  দুর্গাপূজা মণ্ডপে  স্থানীয় প্রবাসী কমিউনিটির নেতা ও সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রবাসীরা।
বার্সেলোনায় দুর্গাপূজা মণ্ডপে স্থানীয় প্রবাসী কমিউনিটির নেতা ও সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রবাসীরা।

পুজা দে ফিয়েস্তার সদস্য ও স্থানীয় ব্যবসায়ী জয়দীপ রায় জানান, প্রবাসের পুজোটা পুরোপুরি ভিন্ন। মা, মাঠি ও বন্ধু-বান্ধবদের মিস করেই আনন্দে হাসতে হয়। একা একা প্রার্থনা করে সবার কল্যাণ চাওয়া এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে ভালো লাগে যখন দেখি আমাদের নতুন প্রজন্ম দেশীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতি আকৃষ্ট হচ্ছে, বেশ উপভোগ করছে।

শারদীয় দুর্গাপূজা দেখতে মণ্ডপে এসেছিলেন বার্সেলোনায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনারারি কন্সুলার রামন পেদ্র বারনাউস এবং স্থানীয় প্রবাসী কমিউনিটির নেতারা।

আরও পড়তে পারেন : গ্রিসে বাংলাদেশি সনাতনী সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব

আয়োজকরা জানান, আনন্দের এই শুভ দিনে মায়ের আশীর্বাদে দেশে ও বিশ্বের মধ্যে শান্তি বিরাজ করবে, আগামী দিনগুলো আরও সুন্দর হয়ে উঠবে, সকল পাপ ও পঙ্কিলতা দূর হয়ে মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।

আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে যোগ দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!