প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মসজিদে নববীর ইমাম শেখ আবদুল্লাহর সাক্ষাৎ

সৌদি আরবের মদিনায় পবিত্র মসজিদে নববীর ইমাম শেখ আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান বাংলাদেশকে তাঁর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, দুই দেশের ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জনগণ ধর্মীয় বন্ধনের কারণে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।

রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সফররত আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান এসব কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছেন মসজিদে নববীর ইমাম।

প্রেস সচিব বলেন, আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, মসজিদে নববীতে কর্মরত খাদেমদের অধিকাংশই বাংলাদেশি।

Travelion – Mobile

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় মসজিদে নববীর ইমামকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ২০২৩ সালের জাতীয় ইমাম সম্মেলনে তাঁর উপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষকে ইসলামের প্রকৃত মর্মের প্রতি উৎসাহিত করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য ওআইসির নারীবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করবেন। জবাবে আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান বলেন, তিনি মসজিদে নববীতে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রতীক্ষায় থাকবেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ধর্মবিষয়ক সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইল উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপশন (জিসিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক ভি ভারকুইজেন একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রেস সচিব জানান, প্যাট্রিক ভি ভারকুইজেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে জলবায়ু ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে প্যাট্রিক ভি ভারকুইজেন ভাসমান গাড়ির মতো দেখতে নেদারল্যান্ডসের প্রধান কার্যালয়ের মডেল দেখান এবং প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। জিসিএ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩২ কোটি ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেল্ট তৈরি করতে কাজ করছে। অন্যদিকে তাঁর দল আওয়ামী লীগ ১৯৮৫ সাল থেকে বনায়নের জন্য চারা রোপণ করে আসছে।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!