পাইলট ‘নো শো’, বিমান ছাড়লো তিন ঘন্টা দেরিতে !

‘নো শো’। বিমানের ভাষা। ব্যবহার হয় সাধারণত অনুপস্থিত যাত্রীদের ক্ষেত্রে। কনফার্ম টিকেটের কোন যাত্রী শেষ পর্যন্ত বিমানে চড়তে না পারলে তাকেই ‘নো শো’ দেখানো হয়। দুই, চার পাঁচজন যাত্রী যদি ‘নো শো’ হয় তাতে বিমানের যাত্রা বিলম্বিত হয় না। নির্ধারিত সময়েই উড়াল দেয়। কিন্তু পাইলট স্বয়ং যদি ‘নাে শো’ হয় তখন পরিস্থিতি কি দাঁড়াতে পারে। নিশ্চয়ই বিব্রতকর!

এমন এক বিব্রতকর পরিস্থিতে পড়তে হয়েছে ভারতের রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা এয়ারইন্ডিয়াকে। তবে পাইলট পুরোপুরি ‘নো শো’ হননি। বিমানবন্দরে এসেছেন তিন ঘন্টা বিলম্বে। অবশ্য বিলম্বের জন্য তিনি পুরোপুরি দায়ী নন, আটকা পড়েছিলেন ভয়াবহ যানবাহনজটে। তিনি ছিলেন ঔ ফ্লাইটের কো-পাইলট।

যাত্রী ‘নো শো’হলে তো উড়াল দেয়া যেত। কো-পাইলট ছাড়া তো সম্ভব নয় । ফলাফল, তিনঘন্টার লম্বা বিলম্বে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার দিল্লী-বেঙাগালোর ফ্লাইট এআই ৫০২ ফ্লাইটটি।

Travelion – Mobile

বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিল্লি থেকে বেঙ্গালোর যাওয়ার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের যাত্রীদের এমন পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। তারা ৩ ঘন্টা দেরিতে রওনা হয়েছিলেন গন্তব্যে। দিল্লী বিমানবন্দর থেকে তাদের ফ্লাইটটি বেলা দেড়টায় ছাড়ার কথা ছিল। সেই ফ্লাইট ছাড়ে বিকাল ৪:২০ মিনিটে । কারন? স্পষ্টতই, কো-পাইলট দিল্লি শহরে যানজটে মধ্যে আটকে পড়েছিলেন। তাই যথাসময়ে বিমানবন্দরে পৌছাতে না পেরে ‘নো শো’ হন।

সাম্প্রতিককালে ভারতের রাজধানী দিল্লীর যানবাহন জট সমস‌্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ভারতের রাজধানী দিল্লীর যানবাহন জট সমস‌্যা ভয়াবহ আকার নিয়েছে।

ওই বিমানের যাত্রীরা জানায়, রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা উল্লেখ করে প্রথমে ৩০ মিনিটের জন্য ফ্লাইটটি বিলম্বিত হওয়ার ঘোষাণা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু টেকঅফের সময়টি আরও দীর্ঘায়িত হলে তাদের মাঝে অস্থিরতার সাথে দুশ্চিন্তাও ভর করে, বড় ধরনের কোন যান্ত্রিক ত্রুটি হল কিনা!

যাত্রী সুকুমার পারিদা জানিয়েছেন, প্রথমে জানানো হয় উড়ানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়বে ওই বিমান। কিন্তু ৩টে বেজে গেলেও ফ্লাইট না ছাড়লে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে ফেটে পড়েন অনেক যাত্রীই। সুপারভাইজারের সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়। পরে তিনিই জানান, কো-পাইলট ‘নো-শো’ হওয়ায় বিমান উড়তে পারছে না।

এরপর সমস্ত জায়গায় ঘোষণা করা হয়, কো-পাইলটের অনুপস্থিতির জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি ট্র্যাফিক জ্যামে আটকে গেছেন এবং এখনও বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারেননি।

নির্ধারিত সময়ের বাড়তি ৩ ঘন্টা বিমানবন্দরে অপেক্ষার সময়, তাদের সময়মত কোনও আপডেট, রিফ্রেশমেন্ট বা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ। । তারা শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭ টায় বেঙ্গালোরতে নামেন।

এ বিষয়ে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি। অনেক বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!