নয় মাসেই তিন হাজার কোটি টাকা লোকসান থাই এয়ারওয়েজের

থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা থাই এয়ারওয়েজ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলির ২০১৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ৪.৬৮ বিলিয়ন বাথ নেট লোকসান গুনেছে যা গত বছরের এই সময়ের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি।

এ নিয়ে বছরের প্রথম নয় মাসে ডুবতে থাকা রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থাটির লোকসান ১১ বিলিয়ন থাই বাথে পৌছেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

২০১৯ এর তৃতীয় প্রান্তিকে, সংস্থাটি ৪৫.০১৬ বিলিয়ন বাথ আয় করেছে, যা গত বছরের এই সময়ের আয়ের চেয়ে ৬.১ বা ২.৯৩৭ বিলিয়ন বাথ কম। সম্প্রতি প্রকাশিত সংস্থাটির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

Travelion – Mobile

“বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব যা গ্রাহকদের ভ্রমণ ও পরিবহন পণ্যগুলির প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করেছে, পাশাপাশি স্বল্প ব্যয়ের বিমান সংস্থাগুলি থেকে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাওয়াকে, থাইল্যান্ডের জাতীয় এই বিমানসংস্থার রাজস্ব হ্রাসের প্রধান কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে শেয়ারহোল্ডারদের এই প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃতীয় প্রান্তিকে থাই এয়ারওয়েজ সংস্থা এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলির ব্যয় হয়েছে ৪৭.৮৫৮ বিলিয়ন বাথ, যা গত বছরের তুলনায় ৪.০৯২ বিলিয়ন বাথ কম ছিল। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় জ্বালানী ব্যয় ১২.২ শতাংশ হ্রাসের কারণে সাশ্রয় হয়েছে।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, স্টেট এন্টারপ্রাইজ লেবার কমিটির ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্য রাখতে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মরত কর্মীদের মধ্যে যারা অবসরে যেতে ইচ্ছুক তাদের ৪০০ দিনের সমপরিমাণ বেতন প্রদান করার জন্য ২.৬৮৯ বিলিয়ন বাথ রিজার্ভ তহবিল হিসাবে রাখা হয়েছে। প্রবিধানটি তৃতীয় প্রান্তিকের শুরুতে কার্যকর হয়েছিল।

পুরানো বিমান ও মাথাভারী প্রসাশন নিয়ে লড়াই করা এয়ারলাইনটি প্রায় এক দশক ধরে লোকসানে চলছে।

থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড, দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ে অধীন একটি জাতীয় সংস্থা। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠিত থাই এয়ারওয়েজ ১৯৯১ সাল থেকে থাইল্যান্ডের সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত পাবলিক কোম্পানী।

মূল ব্যবসা এয়ারলাইন্সের ছাড়া অন্যান্য ব্যবসাগুলোও এভিয়েশন শিল্পের সাথে সম্পর্কিত। মূল উপার্জন ৯৫% ভাগই আসে যাত্রী এবং পণ্য পরিবহন থেকে। ৫% অন্যান্য খাত থেকে।

৪৯% শেয়ার নিয়ে স্বল্প খরচের বিমানসংস্থা নক এয়ার এর বৃহত্তম অংশীদার। ২০১২ সালে নতুন এয়ারবাস এ৩২০ উড়োজাহাজ দিয়ে থাই স্মাইল নামে একটি আঞ্চলিক ক্যারিয়ার চালু করে থাই এয়ারওয়েজ ।

সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর হাব থেকে ১০০ উড়োজাহাজের বহর দিয়ে বিশ্বের ৩৫ টি দেশের ৭৮ টি গন্তব্যে চলাচল করছে থাই এয়ারওয়েজ। এক সময় ব্যাংকক এবং লস এঞ্জেলেস এবং নিউ ইয়র্ক সিটির মধ্যে বিশ্বের দীর্ঘতম নন-স্টপ দুটি রুট পরিচালনা করেছিল বিমানসংস্থাটি ছিল| কিন্তু তেলের উচ্চ দাম, লাগেজ ওজন সীমা এবং কম ভাড়ার কারণে ২০১২ সালে নন-স্টপ রুট দুটি বন্ধ করে দেয়।

স্টার এলায়েন্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য থাই এয়ারওয়েজ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাহকদের মধ্যে, ইউরোপের বৃহত্তম যাত্রী পরিসেবা প্রদান করে| বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থাই এয়ারওয়েজ চলাচল করছে। মাঝে চট্টগ্রাম গন্তব্য থাই এয়ারওয়েজ ও সযোগী থাই স্মাইল কিছুদিন চলাচল করেছিল। পরে বন্ধ হয়ে যায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!