আমিরাত সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

উদ্বোধন করবেন প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রম

চারদিনের সরকারি সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী দুবাই এয়ার শো- ২০১৯ ও আরো কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিবেন। সফর শেষে ১৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবেন।

ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

Travelion – Mobile

বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার পর আনুষ্ঠানিক মটর শোভাযাত্রা সহকারে তাঁকে দুবাইয়ের হোটেল শাংরি-লায় নিয়ে যাওয়া হবে। আমিরাত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এই হোটেলেই অবস্থান করবেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী রবিবার (১৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ও সফল এয়ার শো এবং মধ্যপ্রাচ্য এশিয়া ও আফ্রিকার বৃহত্তম এয়ারোস্পেস ইভেন্ট দুবাই এয়ার শো-২০১৯-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবু ধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এই নিবন্ধন কার্যক্রমের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই দেশের মধ্যে যে ৩টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে সেগুলো হলো- বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং আমিরাত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ এবং আমিরাত অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি এবং আবু ধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য প্লট বরাদ্দের প্রোটোকল।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শেখ হাসিনা দুবাইয়ের শাসক ছাড়াও আবুধাবির যুবরাজ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সশস্ত্রবাহিনীর ডেপুটি সুপ্রিম কমান্ডার শেখ মুহাম্মদ বিন জায়ের আল নাহিয়ান ও ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সুপ্রিম চেয়ারওমেন শেখ ফাতিমা বিনতে মোবারকের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাতের বড়ো বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী এবং ব্যবসায়ীদের সাথেও বৈঠক করতে পারেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতিমধ্যে বাংলাদেশে সমুদ্র বন্দর ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নে আগ্রহ দেখিয়েছে।

আমিরাত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাত এবং উপসাগরীয় দেশগুলোতে হালাল পণ্য রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি কেন্দ্র তৈরিতে বিনিয়োগ করতে চায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!