নয়াদিল্লিতে জাতীয় শোক দিবস পালিত

ভারতে বিনম্র শ্রদ্ধা ও স্মরণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাই কমিশন।

১৫ আগস্ট সকালে হাই কমিশন কার্যালয়ে দিবসের কর্মসূচির শুরুতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। এ সময়ে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধু হল মিলনায়তনে আয়োজিত দিবসের আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু হল দূতাবাসের উপ-হাই কমিশনার মো. নুরাল ইসলাম রাষ্ট্রপতির এবং প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন।

Travelion – Mobile

হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন মিনিস্টার (প্রেস) শাবান মাহমুদ। সভা পরিচালনা করেন কাউন্সেলর শফিউল আলম।

হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটাই লক্ষ্য ছিল পরাধীন জাতিকে স্বাধীন করা এবং দুঃখী বাঙালির মুখে হাসি ফোটানো। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবেসেছিলেন বলেই তিনি আজও প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। জাতি হিসেবে আমাদের লক্ষ্য হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়া এবং তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সহযোগিতা করা।

পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

সন্ধ্যায় দিবসটি পালন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও শোক দিবস উপলক্ষে দূতাবাস থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু: দ্যা লিজেন্ড ফরএভার’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এ সময়ে হল মিলনায়তনে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবীসহ স্থানীয় আমন্ত্রিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!