মিয়ানমারের সিট্যুয়েতে জাতীয় শোক দিবস পালন

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিট্যুয়েতে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ কনস্যুলেট।

সোমবার (১৫ আগস্ট) এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে মিশন প্রধান জাকির আহমেদ কনস্যুলেটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে অর্ধনমিত পতাকার সঙ্গে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর মিশন প্রধান জাকির আহমেদ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে মিশনের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করেন। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কালজয়ী নেতৃত্ব ও অবিস্মরণীয় কর্মকাণ্ডের উপর নির্মিত ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক একটি প্রামান্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

মিয়ানমারের সিটওয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মিশন প্রধান জাকির আহমেদ
মিয়ানমারের সিটওয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন মিশন প্রধান জাকির আহমেদ

শোক দিবসের এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিবেকানন্দ ভট্টামিশ্র ও জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো অর্ডিনেটর রিকার্ডো মায়া বক্তব্য রাখেন।

Travelion – Mobile

মিশন প্রধান তার বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ১৫ আগস্টের এই দিনটিকে ইতিহাসের সবচাইতে জঘন্যতম ও কলঙ্কজনক দিন হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন।

“বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও তাঁর আদর্শ ও স্বপ্নকে ঘাতকরা কখনই হত্যা করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্যগতিতে উন্নয়নের শিখরে আরোহণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।”

মিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভারতীয় কন্স্যুলেটের কূটনীতিক, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, আইনজীবী, বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা, রাখাইন স্টেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিসহ রাখাইনের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ নেন।

অনুষ্ঠানে শেষে মিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সুখ সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!