নিউইয়র্কে জমজমাট লোকসংগীত উৎসব

‘ফিরে চলো মাটির টানে’ স্লোগানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে লোকসংগীতের জমজমাট উৎসব ।

শনিবার (৮ জুলাই) জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএ’র আয়োজনে বাঙ্গালীর আত্মপরিচয় ও শেকড় সন্ধানে জেগে থাকা এ উৎসবে বাঙালি কমিউনিটির বিপুল উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

উৎসবের মধ্যমণি লোকসংগীতের প্রাণপুরুষ পবন দাস বাউল এবং রথীন্দ্রনাথ রায় থাকলেও নিউইয়র্ক অঞ্চলের বাঙালিয়ানায় উজ্জীবিত নতুন প্রজন্মের শিল্পীরাও নিজ নিজ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সকলকে মূর্ছনায় আবিষ্ট করে রেখেছিলেন।

বাঙালি কমিউনিটির বিপুল উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে লোকসংগীত উৎসব।
বাঙালি কমিউনিটির বিপুল উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে লোকসংগীত উৎসব।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবন দাস বাউল, কণ্ঠযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত আরেক খ্যাতনামা শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, সাপ্তাহিক বাঙালির সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, বাংলাদেশ প্রতিদিন উত্তর আমেরিকা সংস্করণের নির্বাহী সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, হোস্ট সংগঠনের সভাপতি দীনেশচন্দ্র মজুমদার, আহ্বায়ক দীপক দাস, প্রধান উপদেষ্টা শিতাংশু গুহ প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

Travelion – Mobile

তারা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো সংস্কৃতি নেই। তাই বাঙালিরা যেভাবে নিজের সংস্কৃতি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তা খুব সহজেই আমেরিকানদেরকেও অভিভূত করছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে একসময় বাঙালির লোকসংস্কৃতি হয়তো আমেরিকার নিজস্ব সংস্কৃতির আদল পাবে।

আলোচনা পর্ব
আলোচনা পর্ব

আয়োজক ‘বেঙ্গলি ক্লাব ইউএসএ’র সদস্য সচিব শিবলী ছাদেকের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন লোক সংগীত উৎসব কমিটির আহবায়ক দীপক দাস, উপদেষ্টা শিতাংসু গুহ ও প্রধান সমন্বয়কারী দীনেশ চন্দ্র মজুমদার।

প্রবাসীদের প্রতি জানিয়ে আয়োজকরা বলেন, সামনের দিনগুলোতেও এমন আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে কোনো আয়োজনই অসাধ্য হবে না”।

প্যারিস থেকে আসা পবন দাস বাউলের পরিবেশনার সময় পুরো প্লাজা নেচে উঠে। এর আগে আরেক জনপ্রিয় শিল্পী রথীন্দ্রনাথ সময়ের স্বল্পতায় প্রাণ খুলে গাইতে পারেননি।

 ধামাইল, পদাবলী কীর্তন, পুঁথি পাঠ, কবিগান, নৃত্যসহ বাঙালি সংস্কৃতির সকল ধারার পরিবেশনা ছিল
ধামাইল, পদাবলী কীর্তন, পুঁথি পাঠ, কবিগান, নৃত্যসহ বাঙালি সংস্কৃতির সকল ধারার পরিবেশনা ছিল

উৎসবের মেজাজে আরো সংগীত পরিবেশন করেছেন জোহরা আলিম, চন্দ্রা ব্যানার্জি, শাহ মাহবুব, রানু নেওয়াজ, অনিক রাজ এবং সূতপা মন্ডল।

চন্দ্রা ব্যানার্জির নেতৃত্বে নৃত্যাঞ্জলি এবং কাবেরী দাসের নেতৃত্বে সংগীত পরিষদের পরিবেশনা সকলে উপভোগ করেছেন। সংস্কৃতির প্রতি গভীরভাবে আগ্রহী একদল নারী এক পর্যায়ে মঞ্চের সামনে নেচে-গেয়ে পুরো আয়োজনকে ভিন্ন এক আমেজে নিয়ে গেছেন।

লোকজ সংস্কৃতির আবহে গোপন সাহার সাবলীল উপস্থাপনায় দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ আয়োজনে ছিল ধামাইল, পদাবলী কীর্তন, পুঁথি পাঠ, কবিগান, নৃত্যসহ বাঙালি সংস্কৃতির সকল ধারার সফল উপস্থিতি। মুগ্ধতা ছড়ায় যাত্রা পালা ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!