দক্ষিণ কোরিয়ায় যারা নতুন করে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিধি বিধান অনুসরণ করছেন না তাদের প্রতি কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন,পাশাপাশি সতর্ক করে দিয়ে আইন লঙ্ঘনকারীরা আইনী শাস্তি বা নির্বাসনের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান।
ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত কয়েক সপ্তাহ আগত COVID-19 এর বিস্তার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই সপ্তাহের স্ব-বিচ্ছিন্নতা নির্দেশিকা মেনে চলেনি বলে সরকার কঠোর সতর্কতা জারি করছে।
কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ও সুরক্ষা সদর দফতর মতে, যে কোনও বিদেশি বিনা অনুমতিতে স্ব-বিচ্ছিন্নতা স্থান ছেড়ে চলে গেলে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে। অন্যদিকে চার সদস্যের পরিবারের ক্ষেত্রে স্থানীয় কোরিয়ান আইন লঙ্ঘনকারীরা ভর্তুকি পাবেন না।
পুলিশ তাদের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থার বজায় রাখবে এবং নিয়মের যে কোনও লঙ্ঘনের জন্য জরুরি এ্যাকশেন নেবে। সংস্থাটি বলেছে যে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের অধীনে লঙ্ঘনকারীদের এক মিলিয়ন উন পর্যন্ত জরিমানা বা এক বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে।
সরকার বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারীদের প্রবেশের বিষয়টি অস্বীকার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাদের স্ব-বিচ্ছিন্ন করার আদেশ দেওয়া হয়েছে তবে তারা দেশের অবস্থানগুলি পর্যবেক্ষণ করার উদ্দেশ্যে স্ব-সঙ্গতি-সুরক্ষা অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করতে ব্যর্থ হয়েছে।
১৪ দিনের জন্য এখানে স্ব-বিচ্ছিন্ন করতে বলা ব্যক্তিদের মধ্যে স্ব-পৃথক অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করার হার কমতির দিকে। সরকার সাধারণ নাগরিকদের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে যে কোনও স্ব-বিচ্ছিন্নতা লঙ্ঘনের খবর জানাতে উৎসাহিত করবে।
ভিনদেশ থেকে আসাদের ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার কঠোরতর পৃথকীকরণ পদ্ধতি এবং ১৪ দিনের স্ব-বিচ্ছিন্নতায় থাকার জন্য ইউরোপ এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে সমস্ত আগতদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
প্রধানমন্ত্রী চুং সি-কিুন কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন বিধিগুলিকে “বাধ্যতামূলক” বলে আখ্যায়িত করেছেন।সরকারী বৈঠকে বলেছেন,আইন দেশী বিদেশী যারা আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধেই ” আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “বৈধ কারণ ছাড়াই যারা বিধিবিধান মেনে চলেন না এবং বিদেশীদের ক্ষেত্রে নির্বাসনের আদেশ দেওয়ার বিষয়ে তাদের অভিযোগ দায়ের করা দরকার।”
