তুরস্কে বাংলাদেশি চায়ের প্রদর্শনী

তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইজমিরের অনারারি কন্সালের সহযোগিতায় ইজমিরের কোসাদাসি জেলায় বাংলাদেশের চায়ের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে এই প্রর্শনীর আয়োজন করা হয়।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) এজিয়ান সাগরের পাশে কোরুমার হোটেলে বিশেষভাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তুরস্কের অবকাঠামো নির্মাণ ও আমদানি-রফতানির ব্যবসায় নিয়োজিত বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ইজমিরের বাংলাদেশের অনারারি কন্সাল জান চাকমাকোগলুর স্বাগত বক্তব্যে তুরস্ত ও বাংলাদেশের সর্ম্পকের নানা দিক তুলে ধরেন।

Travelion – Mobile

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান এনডিসি তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি বাংলাদেশি চায়ের গুণাগুণও তুলে ধরে বলেন, এই প্রদর্শনী বাংলাদেশের দ্রুতবর্ধনশীল চায়ের বাজার ও অর্থনীতির বিষয়ে তুরস্কের বেসরকারি খাতের মনোযোগ আকর্ষণে সহায়ক হবে।

রাষ্ট্রদূত দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনায় বাংলাদেশি চায়ের রফতানির গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন।

তিনি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মাঝে বিদ্যমান উষ্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি ইজমিরের কুসাদাসি জেলা গভর্নর সাদেটিন ইউসেল তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বিউটিফুল বাংলাদেশ ও কাজী অ্যান্ড কাজী লিমিটেডের চায়ের প্রস্তুুত প্রণালীর ওপর নির্মিত দুইটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে সামনের দিনগুলোতে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে খাদ্য উৎসব ও চায়ের বাণিজ্য প্রসারের জন্য আরও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে, যা দু’দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিকাশে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!