প্রতি সপ্তাহে দুবাইয়ে মুদ্রা পাচার করেন তারা!

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) হাতে ছয় লাখ সৌদি রিয়ালসহ আটক হয়েছেন জুয়েল ও রব্বানী।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, প্রতি সপ্তাহে বাহরাইন হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যান তারা। আজ শুক্রবার ভোরেও তাঁরা একইভাবে একই গন্তব্যে যাচ্ছিলেন।

বোডিং শেষে ফ্লাইটে ওঠার অপেক্ষায় থাকার শেষ মুহূর্তে এই দুই যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ সৌদি মুদ্রা। বাংলাদেশি মুদ্রায় তার মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

Travelion – Mobile

এপিবিএনের সদস্যরা জানান, জুয়েলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। রব্বানীর বাড়ি কুমিল্লায়। আজ ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইটে তাঁরা বাহরাইনে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেখান থেকে তাঁরা দুবাইয়ে যেতে চেয়েছিলেন।

এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক বলেন, জুয়েল ও রব্বানী তাঁদের লাগেজগুলো বুকিং দিয়ে ফ্লাইটে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। লাগেজগুলো ততক্ষণে উড়োজাহাজে উঠে যায়।

উড়োজাহাজ থেকে লাগেজ নামিয়ে তল্লাশি করে বিদেশি মুদ্রা পাওয়া যায়। লাগেজের নিচের অংশে মুদ্রাগুলো লুকিয়ে রাখা ছিল।

জিয়াউল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল ও রব্বানী জানিয়েছেন, তাঁরা নিয়মিত দুবাইয়ে ভ্রমণ করেন। প্রতি সপ্তাহেই তাঁরা বাহরাইন হয়ে দুবাইয়ে যান।

এসব মুদ্রা দুবাইয়ে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের। সোনা চোরাচালানের উদ্দেশ্যে এসব মুদ্রা ব্যবহার করা হতে পারে বলে ধারণা করছেন জিয়াউল হক।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!