জিম্বাবুয়ের প্রধান বিমানবন্দর চলছে রাডার ছাড়াই!
রাডারের সহায়তা ছাড়াই চলছে জিম্বাবুয়ের প্রধান বিমানবন্দর। ফলে রাজধানী হারারের রবার্ট গেব্রিয়েল মুগাবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটিতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলরের (এটিসি) নির্দেশনা ছাড়াই উড়োজাহাজ অবতরণ করছে। নেপথ্যে কারণ, রাডারটি বিকল হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এমন তথ্য উপস্থাপন করেন বাজেট কমিটির প্রধান সংসদ সদস্য অস্কার গোরেরিনো ।
তিনি বলেন, ‘আমরা যথাযথ রাডার ব্যবস্থা ছাড়া এভাবে চালাতে পারব না। নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি খুবই বিপজ্জনক।’
হারারের রবার্ট গেব্রিয়েল মুগাবে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রাডারকে আধুনিকায়নে চীনের হারবার ইকুইপমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
বাজেট কমিটি জানতে পেরেছে, রাডার পদ্ধতিসহ বিমানবন্দরের উন্নয়নে চীনের দ্য এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক জিম্বাবুয়েকে ১৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঋণ দিয়েছে।
কিন্তু জিম্বাবুয়ের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের ভান্ডারে আছে মাত্র ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। আর নতুন রাডার কিনতে ৩৪ লাখ ডলার খরচ পড়বে বলে কমিটি জানায়।
ভিডিওর ওই বক্তব্যে ঋণের বাকি অর্থ দিয়ে কী হয়েছিল তা নিয়ে কিছু বলতে শোনা যায়নি। অথবা কখন রাডারটি নষ্ট হয়ে গেছে, সে বিষয়েও কিছু বলা হয়নি।
গোরেরিনো বলেন, অকার্যকর রাডার ব্যবস্থা জাতির জন্য খুবই বিপজ্জনক। এটি আধুনিকায়নের কেন এত সময় লাগবে?
প্রসঙ্গত, দুই দশক ধরে জিম্বাবুয়েতে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহও কমে গেছে।
রবার্ট গ্যাব্রিয়েল মুগাবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (IATA: HRE, ICAO: FVRG), আগে হারারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত ছিল। ১৯৫৭ সালে সালিসবারি বিমানবন্দর হিসাবে এটি চালু করা হয়েছিল । বর্তমানে এটি দেশের বৃহত্তম বিমানবন্দর এবং এয়ার জিম্বাবুয়ের বেস হিসাবে কাজ করছে।