জার্মানিতে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা

জার্মানিতে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিদেশি বন্ধু ও কূটনীতিকদের সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

রোববার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানী বার্লিনের হোটেল ওয়াল্ডর্ফ এস্টোরিয়ার বলরুমে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ২৫টি দেশের মিশনপ্রধান ও কূটনীতিক, জার্মানির পররাষ্ট্র দপ্তর, বৈদেশিক বাণিজ্য, অর্থনৈতিক বিষয়াবলী ও জলবায়ু পরিবর্তন দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, থিংক ট্যাঙ্ক প্রতিনিধি, জার্মান ব্যবসায়ীসহ প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার অতিুথিদোের অর্ভ্যথনা জানানা।

Travelion – Mobile

বাংলাদেশ ও জার্মানি এই দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে ও যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রেক্ষাপটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, মহান নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও জীবিত মুক্তিযোদ্ধা, সকল বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা মা-বোনের অপরসীম ত্যাগ-তীতিক্ষার কথা উল্লেখ করে বিশেষ এই দিনে তাঁদের সকলকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।

জার্মানিতে  স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিবার।
জার্মানিতে স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিবার।

প্রফেসর ড. গওহর রিজভী স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ও অবদান এবং বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনায় প্রভূত অর্জনের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রাকে কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি মিয়ানমার হতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ও বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ প্রত্যাবাসন বিষয়ে সকল কূটনীতিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি স্বাধীনতা পরবর্তীতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্জন এবং বর্তমান সরকারের গৃহীত বিবিধ উন্নয়ন কর্মসূচীর ফলে বাংলাদেশ কিভাবে আজ “উন্নয়ন বিস্ময়” হিসেবে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি লাভ করেছে, সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোকপাত করেন।

জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংগীতানুষ্ঠান।
জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংগীতানুষ্ঠান।

কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশ ও জার্মানির মাঝে বিদ্যমান বন্ধুত্ব ও আন্তরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তিনি এই সম্পর্ককে আরো গভীর ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধির প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের বিশেষ কেক কাটার পর অনুষ্ঠানের আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। জার্মানিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজস্ব আয়োজনে স্বাধীনতা বিষয়ক গান, নাচ, কবিতা, পুঁথিপাঠ ও ভিডিওচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য পর্ব সকলে মুগ্ধতার সাথে উপভোগ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে আগত অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশি খাবার ও মিষ্টি সহ বুফে ডিনারে অংশগ্রহণ করেন।

YouTube video

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!