জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ‘জেল হত্যা দিবস’ পালন

জার্মানিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘জেল হত্য দিবসা’ পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। ৩ নভেম্বর রাজধানী বার্লিনে দূতাবাসের হলরুমে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসির সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠকরা।

আলোচনার শুরুতে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার, এম. মুর্শীদুল হক খান এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর তানভীর কবির।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তথা জাতির পিতার পাকিস্থানস্থ জেলে অন্তরীনকালীন সময়ে মুজিবনগর সরকার গঠন, প্রবাসে মুজিবনগর সরকার পরিচালনায় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে তাদের অবিস্মরণীয় ভূমিকা , স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ- বিধ্বস্ত দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা তথা তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, ত্যাগ, প্রজ্ঞা, মেধা এবং অতুলনীয় দেশপ্রেমের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,তাঁর পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজনকে নৃশংসভাবে হত্যার বর্বরোচিত ঘটনার পর ৩রা নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে আরো একটি কলঙ্কজনিত অধ্যায়।

“জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আছে তাদের চিরস্মরণীয় আদর্শ”, রাষ্ট্রদূত যোগ করেন।

তিনি আরো বলেন, ঘাতকরা চার নেতাদের হত্যার মাধ্যমে জাতির পিতার আদর্শকে নিভিয়ে দিতে পারেনি। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে এবং ২০৪১ সনের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে পরিগণিত হওয়ার বিষয়ে প্রত্যয়ী।

সবশেষে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার এবং জাতীয় চার নেতা সহ সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয় ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!