বাঘ
বাঘের ডোরাকাটা দাগ কি কেবল তাদের লোমেই থাকে? না। বাঘের গায়েও থাকে একই ধরনের দাগ। জেব্রাদের মতো কোনো দুটো বাঘের ডোরাকাটা দাগও কিন্তু এক রকমের হয় না। ফটো তুলে আধুনিক পদ্ধতির যে বাঘ সুমারি হয়, তাতে ডোরাকাটা দাগই সাহায্য করে প্রতিটি বাঘকে আলাদা করে চিনতে।
বিড়াল
সাধারণ মানুষ বিড়ালের ডাক বলতে বোঝেন, ‘ম্যাঁও, ম্যাঁও’ শব্দ। বড় জোর বিড়ালছানা হলে সেই ডাক হয়ে যায়, ‘মিঁউ মিউঁ’। কিন্তু প্রাণিবিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, বিড়ালের গলা দিয়ে নানা ধরনের স্বর বেরোয়। পরিস্থিতি অনুযায়ী, বিড়াল গলার স্বর বদলাতে পারে। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখা উচিত, সত্তরের বেশি রকমের বিড়াল পৃথিবীতে চরে বেড়াচ্ছে। অতএব গলার স্বরের অমন বৈচিত্র্য মোটেই বিচিত্র নয়।
বাদুড়
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে ভালোভাবে উড়তে পারে একমাত্র বাদুড়। তবে এটাই বাদুড়দের একমাত্র বৈশিষ্ট্য নয়। পতঙ্গভুক বাদুড়েরা ওড়ার সময় মুখ দিয়ে উচ্চকম্পাঙ্কের তীক্ষ্ণ শব্দ করে থাকে। সেই শব্দ দিয়ে তারা নির্ভুলভাবে বোঝে সামনে কিছু আছে কিনা কিংবা থাকলে সেটা কত বড়, নড়াচড়া করছে কিনা। এ যেন শব্দের টর্চ জ্বেলে তাদের এগিয়ে চলা।
ডলফিন
ডলফিন খুব বুুদ্ধিমান প্রাণী। তাদের মস্তিষ্ক সব সময়ই সক্রিয় থকে। এমন কী, ঘুমের মধ্যেও ডলফিনের মস্তিষ্কের অর্ধেক জেগে থাকে এবং তাদের একটা চোখও খোলা থাকে। কখনও যদি কোনো ডলফিন অসুস্থ কিংবা আহত হয়, তাহলে তার ডাক শুনে অন্য ডলফিনরা চলে আসে। সব ডলফিনের প্রধান লক্ষ্য থাকে ওই অসুস্থ ডলফিনটিকে পানির উপর ভাসিয়ে রাখা। যাতে সেই প্রাণীটি নিশ্বাস নিতে পারে। ডলফিনের শ্রবণশক্তিও দারুণ ভালো। পানির ভেতর তারা বহু দূরের শব্দও নির্ভুল শুনতে পায়।