গ্রিসে বঙ্গমাতা ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

গ্রিসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল -এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় গ্রিসে পালিত হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে গ্রিসের এথেন্সস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাজধানী এথেন্সে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে কর্মসূচির শুরুতেই সূচনা করেন গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্‌মেদ।

এসময় গ্রিসে বসবাসকারী বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক,ব্যবসায়ী এবং আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশি অংশ নেন।

Travelion – Mobile

এ উপলক্ষে আলোচনার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং পবিত্র গীতা থেকে পাঠের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনানো হয়। এরপর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনীর উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

আলোচনায় বক্তারা, বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্‌মেদ তার বক্তব্যে বঙ্গমাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ পুনর্গঠনের কাজে বঙ্গমাতা দৃঢ়তা, সাহসিকতা ও বিচক্ষণতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন,বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে চিরদিন ছায়ার মতো থেকেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে জাতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংকটময় ও কঠিন মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নীরবে সহায়তা করে গিয়েছেন। এই মহিয়সী নারীর আদর্শ বাঙালি নারীদের কাছে সবসময় অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বিবেচিত হবে।

অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের তারুণ্যদ্বীপ্ত এবং কর্মময় জীবনের কথা স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ কামাল ছিলেন দেশপ্রেমিক, সংস্কৃতিমনা এবং ক্রীড়াপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে নবগঠিত বাংলাদেশে একজন সফল ক্রীড়া এবং বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম সংগঠক হিসেবে তিনি সকলের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!