গ্রিসে জাল নথি দিয়ে বৈধতার বিরুদ্ধে কঠোর কর্তৃপক্ষ

মূলহোতা দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে তদন্ত

গ্রিসে জাল নথি দিয়ে বৈধতার জন্য আবেদনকারী বাংলাদেশিসহ অভিবাসীরা পড়তে পারেন আইনি জটিলতায়। জাল নথি সন্দেহে ইতোমধ্যে অনেকের আবেদন বাতিল হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, জাল নথি প্রদানকারী অভিবাসী পাঁচ বছরের জন্য গ্রিসে বসবাসে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন। এছাড়াও অবৈধ বসবাসের দায়ে দেশে ফেরত পাঠানোও হতে পারে।

সূত্র বলছে, জাল নথি তৈরির মূলহোতা হিসেবে দুই বাংলাদেশিসহ চার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, গ্রিসে বর্তমানে অনিয়মিত অভিবাসীরা সাধারণত দুটি প্রক্রিয়ায় বৈধতার জন্য আবেদন করেন। প্রথমটি , ২০১৪ সালের আইনে সাত বছর গ্রিসে বসবাসের প্রমাণপত্র দিয়ে আবেদন। ২য় প্রক্রিয়াটি হচ্ছে, বাংলাদেশ ও গ্রিসের সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির আগে গ্রিসে বসবাস করছেন– এমন প্রমাণ । এছাড়াও বিভিন্ন নথির প্রয়োজন হয়।

Travelion – Mobile

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গ্রিস কর্তৃপক্ষের কাছে বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ৪ হাজার ভুয়া নথি সংযুক্ত আবেদন রয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের আবেদন বাতিল হয়েছে। এ অবস্থায় ভুয়া নথি দিয়ে আবেদনকারীদের ধরতে গ্রিস সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর কঠোর ব্যবস্থা আদেশ জারি করে অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এ নিয়ে গ্রিসে বাংলাদেশ দূতাবাসও সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে। দূতাবাস, রেসিডেন্ট পারমিটের জন্য আবেদনে আগ্রহী প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিজে কিংবা দালাল বা প্রতারক চক্রের প্ররোচনায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি ভুয়া রেকর্ডপত্র বা ডকুমেন্টস জমার মাধ্যমে রেসিডেন্ট পারমিট পাওয়ার আবেদন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

এ বিষয়ে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ বলেন, বৈধতার যে প্রক্রিয়া চলছে এতে কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি যেন কোনো ধরনের জাল নথি যুক্ত না করেন। জাল কাগজপত্র দাখিল করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। পরে তারা আর বৈধ হতে পারবেন না। এমনকি বৈধতার জন্য আবেদনের সুযোগই পাবেন না।

তাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।

সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!