গাছের চারা বহনে অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিল দুই বাংলাদেশির
পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে গাছের চারা বহনের অপরাধে ভ্রমণ ভিসা বাতিল করে দুই বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ জানিয়েছে, এই দুই বাংলাদেশি আগামী তিন বছরের মধ্যে আর অস্ট্রেলিয়া আসতে পারবেন না।
গত ৩ নভেম্বর দেশটির পার্থ বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। দেশ থেকে নিয়ে যাওয়া ২১ টি চারা গাছ সঙ্গে পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন এবং সীমান্ত সুরক্ষা অধিদফতরের অধীন অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স এই শাস্তি দেয় দুই বাংলাদেশি যাত্রীকে। বাংলাদেশিদের পরিচয় প্রকাশ করেনি অস্ট্রেলিয়া সরকার।
জানা গেছে, দুই বাংলাদেশি যাত্রী তাঁদের কাস্টমস ঘোষণা ফরমে সঙ্গে থাকা চালের ঘোষণা দিলেও লাগেজে থাকা ২১ টি চারা গাছের কথা উল্লেখ করেন নি। কাস্টমস পার হওয়ার সময় পার্থ বিমানবন্দরে দায়িত্বরত অস্ট্রেলিয়ার জৈব সুরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের হাতে বিষয়টি ধরা পড়ে ।
ডগ স্কোয়াডের তল্লাশিতে ব্যাগেজের ভেতর গাছের চারাগুলাের সন্ধান পাওয়া যায় তারা। পরে ব্যাগ খুলে সেগুলো বের করে আনা হয় ।
আইন অনুযায়ী পূর্ব ঘোষণা না দেওয়াতে জৈব সুরক্ষা বিভাগের রিপোর্টের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন ভিসা বাতিল করে তাঁদের পরদিন ফিরতি ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
অস্ট্রেলিয়ার জৈব সুরক্ষা অবস্থানকে শক্তিশালী করতে নতুন আইন প্রবর্তনের পরে এটি এক মাসের মধ্যে চতুর্থ ভিসা বাতিলের ঘটনা। কৃষিক্ষেত্রকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থান আছে দেশটির সরকার, বাইরে গাছ নিয়ে দেশটিতে ঢোকা নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
দেশকে ক্ষতিকারক উদ্ভিদ কীটপতঙ্গ থেকে মুক্ত রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। বাইরের দেশের গাছপালা উদ্ভিদ কীট এবং রোগ বহন করে দেশটির খাদ্য উৎপাদন এবং কৃষিক্ষেত্রকে ধ্বংস করতে পারে- এমন আশংখা বেশ কড়াকাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিদেশি নাগরিকদের জন্যই শুধু নয় নিজেদের নাগরিকের জন্যও আরও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বাইরের গাছ নিয়ে দেশে ঢোকার অপরাধে।
অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকের ক্ষেত্র এই অপরাধে ফৌজদারি বা দেওয়ানি মামলার ব্যবস্থা নিতে পারে আদালত। হতে পারে ৪ লাখ ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা এবং ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ।