কোরিয়ান ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ
বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যেগে পুস্তিকা প্রকাশ
দক্ষিণ কোরিয়া যথাযোগ্য ভাব গাম্ভীর্য ও মর্যাদার সাথে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ উপলক্ষে এই প্রথম কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে দূতাবাস।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রণ করেন। দেশটিতে করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রাদূর্ভাবের কারণে এ বছর প্রবাসীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়নি।
৭ই মার্চ শনিবারে বিকেলে রাজধানী সিউলে দূতাবাস প্রাঙ্গণে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। এরপরই পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠের পর বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এরপর দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্বের উপর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ।
বক্তাগণ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পটভূমির পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতির তাৎপর্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
এরপর আমাদের জাতীয় জীবনে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন,”বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের সেই অগ্নিঝরা ভাষণ পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছিলো, এই ভাষণ ছিলো স্বাধীনতার অমর কবিতা।”
“বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ সমগ্র বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিল। এই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ও সাহস যুগিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে ৩০ লাখ লোক প্রাণ উৎসর্গ করেন এবং ২ লাখ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারান, যার দৃষ্টান্ত বিশ্ব ইতিহাসে বিরল”, তিনি যোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, “ইউনেস্কো কেবল বাঙালী ঐতিহ্য হিসেবেই নয়, ৭ই মার্চের এই ভাষণকে বিশ্ব মানবের সম্পদ হিসেবেও স্বীকৃতি প্রদান করেছে, যা সারা পৃথিবীর মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।”
আলোচন শেষে কোরিয়ান ভাষায় অনূদিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পুস্তিকার মোড়ক উন্মোচন করেন রাষ্ট্রদূত। সঙ্গে ছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধু ও ৭ই মার্চের উপর লেখা কবিতা পাঠ করেন।