কুয়েতে আপন ভাইয়ের হাতে বাংলাদেশি খুন, নেপথ্যে পরকীয়া!

সপ্তাহ খানেক আগে কুয়েতের আমঘারায় বদ্ধ ঘর থেকে থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি গলিত মরদেহ। পরে তদন্তে শনাক্ত হয় এটি একজন প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধার মরদেহ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল লকডাউনে ঘরে আবদ্ধ অবস্থায় স্ট্রোক বা হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ময়না তদন্তে বেরিয়ে আসে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর জোর তদন্তে নামে কুয়েতের ফৌজদারি তদন্ত প্রশাসন। অবশেষে উন্মোচিত হয়, পিলে চমকানো ও লোহমর্ষক হত্যাকাণ্ড।

মহামারি করোনার দুঃসহ পরিস্থিতি আর রমজানের মধ্যেই আপন ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন এই কুয়েতপ্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধা। স্ত্রীর সাথে পরকিয়া প্রেমের অভিযােগে বাংলাদেশ থেকে ওই ভাই কুয়েতে গিয়ে ভাইকে হত্যা করে।

নিহত ও আটক হওয়া ব্যক্তির নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি ফৌজদারি তদন্ত প্রশাসন। তবে খুন হওয়া বাংলাদেশি আমঘারায় একটি কোম্পানিতে নিরাপত্তা প্রহরি হিসেবে কর্মরত ছিল বলে জানিয়েছে তদন্ত কর্তৃপক্ষ।

Travelion – Mobile

দেশটির ফৌজদারি তদন্ত প্রশাসন জানায়, নিহতের গলিত মরদেহ বেশ ক’দিন আগে আমঘারা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন এই হত্যার কোন কুলকিনারা করতে না পারলেও অবশেষে আপন ভাইকে আটকের মাধ্যমে এই রহস্যের কুলকিনারা হল।

তারা আরো জানায়, আটক হওয়া ব্যক্তি কুয়েতের ফাহাহিল এলাকায় বসবাস করত যে কিনা খুন হওয়া বাংলাদেশি ভাইয়ের সাথে দেখা করতে আমঘারা এসেছিল।

তিন মাস আগে ৫০০ দিনারে ভুয়া পাসপোর্ট বানিয়ে কুয়েত আসেন তিনি। স্ত্রীর সাথে ভাইয়ের পরকিয়ার সম্পর্ক জেনে ফেলায় আপন ভাইকে তিনি হত্যা করার পরিকল্পনা করেন বলে জানায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

আরব টাইমস থেকে জানা গেছে, আটক ব্যাক্তির বাসস্থান থেকে নিহতের মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া ভাই জানিয়েছে, স্ত্রীর সাথে ভাইয়ের পরকিয়ার খবর জেনে যাওয়ার পর খুনের উদ্দেশ্যেই কুয়েত পাড়ি জমায় সে। পরে আমঘারাতে শ্বাসরোধ করে আপন ভাইকে হত্যা করে ক্ষোভ মেটান তিনি।

কুয়েতি কর্তৃপক্ষ থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি অবগত হয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত নিহত ও ঘাতক ভাইয়ের নাম-পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য হাতে আসেনি বলে দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!