কুয়েতের সীমান্তে অর্থ পাচারে জড়িতদের পালানো ঠেকাতে কড়া নিরাপত্তা
কুয়েতে অর্থ পাচার ও দুর্নীতি মামলায় জড়িত ও সন্দেহভাজনদের পলায়ন ঠেকাতে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। পাশপাশি সীমান্ত পার হওয়া ট্রাকগুলোকে তল্লাশির নির্দেশনাও দিয়েছে তারা। খবর আবর টাইমসের।
দেশটির নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, বর্তমানে নজরাদারি রাখা হচ্ছে মালয়েশিয়ার তহবিল জালিয়াতির সাথে জড়িত এবং বাংলাদেশি সাংসদ শহিদ ইসরাম পাপুলকাণ্ডের ওপর। সন্দেহজনক লেনদেনের কারণে ওঠে এসেছে পাপুলের ক্লিনিং কোম্পানির কুয়েতি অংশীদার, ইরানি ফোওয়াদ এবং বিখ্যাত গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের নামও।
এছাড়া পাবলিক প্রসিকিউশনের তালিকায় থাকা ব্যক্তিদেরও রাখা হয়েছে বিশেষ নজরদারিতে।
আগের খবর : কুয়েতে কমছে বাংলাদেশি কর্মীর কোটা
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সীমান্তে সব পয়েন্টে নিরাপত্তা বাহিনী এবং কাস্টমসকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে সিরিয়াতে জন্ম নেয়া ফরাসি নাগরিক বাশার কিওয়ানের তিন বছর আগে ট্রাকে করে ইরাকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
তারা আরও জানায়, কিছু অভিযুক্ত এবং সন্দেহভাজন জামিনে মুক্ত হয়ে পালানোর সুযোগ নিতে পারে। অথবা অর্থপাচারে জড়িত অনেকেই এখনো রয়েছে যাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি। তারাই এ সুযোগে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করতে পারে।
আরব টাইমস সূত্রে জানা গেছে, যে কাগজপত্র এবং পাসপোর্টের সত্যতা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।
আগের খবর : কুয়েতে সরকারি থেকে বেসরকারি খাতে প্রবাসীদের আকামা স্থানান্তর নিষিদ্ধ
সংশ্লিষ্ট প্রেক্ষাপটে, পাবলিক ফান্ড এন্ড কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স অর্থপাচারে অভিযুক্ত ফোওয়াদ, দুই জন নাগরিক, একজন মিশরীয় এবং একজন আরব বংশোদ্ভূত বেলজিয়ামের নাগরিককে মামলার পরবর্তী তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত আটক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
Posted by AkashJatra on Wednesday, July 1, 2020