কুয়েতে করোনা পজিটিভ এক ফিলিপাইনির আত্মহত্যা

কুয়েতে লকডাউনে আটকেপড়া এক ফিলিপিনো নাগরিকের করোনা টেস্টে পজিটিভ আসায় আত্মহত্যা করেছেন তিনি। গেল শুক্রবারে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কুয়েতের আমিরি হাসপাতালে। কোভিড-১৯ টেস্টের ফলাফলে পজিটিভ দেখার পরই ফিলিপিনো হাসপাতালের একটি বাথরুমে নিজেকে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত এই ব্যক্তি পেশায় একজন প্রকৌশলী, যিনি কুয়েতে ভিজিট ভিসায় এসেছিলেন।

আবুধাবিভিত্তিক একটি সংস্থায় তিনি চাকরি করতেন যেটির আমন্ত্রণে তিনি কুয়েতে একটি প্রকল্পের কাজে এসে লকডাউনে আটকা পড়েছিলেন। এতে আবুধাবির প্রতিষ্ঠানটি তাকে চাকরিচ্যুত করে এবং এরপর থেকেই তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।

কুয়েত টাইমস জানিয়েছে, হতাশা ছাড়াও তিনি এ্যাডিসনস ডিজিজ বা একধরণের হরমোনাল রোগে ভুগছিলেন। এই রোগের কারণে যেই ঔষধ সেবন করতেন সেটিও এই আত্মহত্যার প্ররোচণার পেছনকার কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Travelion – Mobile

ফেসবুকের মাধ্যমে কুয়েত টাইমসের সাথে কথা বলেছেন ওই ফিলিপিনোর একই হোটেলে থাকা এক প্রতিবেশি ল্যারি (আসল নাম নয়)।

তিনি কুয়েত টাইমসকে বলেন, তারা কুয়েত সিটিতে একই হোটেলে ছিলেন। নিহত ওই ফিলিপিনোর মত সফর ভিসায় কুয়েতে এসেছিলেন ল্যারি। তাদের দুজনের ভিসিট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাদের হোটেলেই অবস্থান করতে হয়। এসময় বন্দী থাকা অবস্থায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে।

তিনি বলেন,“এর কয়েক দিন পর কুয়েত থেকে ম্যানিলায় আউটবাউন্ড ফ্লাইট পুনরায় চালু হলে ফিলিপিন্সে ফিরে যায় আমি। কিন্তু ঐই ব্যক্তি যিনি আত্মহত্যা করেছেন তিনি ফিলিপাইনে ফিরে না গিয়ে চাকরি হারবেন এই ভয়ে হোটেলেই রয়ে যান।”

এদিকে আমিরি হাসপাতালের এক কর্মচারী কুয়েত টাইমসকে জানান, আত্মহত্যার আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় তিনি ওই ফিলিপিনোকে বেঘোরে কাঁদতে দেখেছেন। তিনি তাঁকে খুব হতাশ অবস্থায় দেখেন এবং তার কাছে কাছে গিয়ে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন।

ওই সময় ফিলিপিনো জানান যে, তিনি সম্প্রতি এখানে আটকে পড়ার কারণে তার চাকরি হারিয়েছেন এবং এখন তিনি করোনার জন্য পরীক্ষা করিয়েছেন যা নিয়ে তিনি চরম দুশ্চিন্তায় আছেন। পরের দিন ফলাফল পজিটিভ আসায় এই দূর্ঘটনা ঘটান ভদ্রলোক। ”

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!