কাবা শরীফ ও মসজিদে নববী করোনামুক্ত রাখার বিশেষ উদ্যােগ
পবিত্র মক্কানগরীর মসজিদুল হারাম বা কাবা শরীফ এবং মদিনার মসজিদে নববী প্রতিদিন এশার নামাজের এক ঘণ্টা পর থেকে ফজরের নামাজের এক ঘণ্টা আগ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় বুধবার নিজ দেশের নাগরিক এবং প্রবাসীদের জন্য ওমরাহ হজ বন্ধ করে দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে সৌদি সরকার ওমরাহ ভিসা স্থগিত করে এবং ছয়-দেশীয় উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলের নাগরিকদের মক্কা ও মদিনায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।
আরব নিউজ জানিয়েছে, পবিত্র কাবা ঘরের যে স্থানটিতে হাজিরা সাতবার তাওয়াফ এবং সাফা ও মারওয়ার যেখানে সা’ঈ করেন, ওমরাহ পালনে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার আগ পর্যন্ত তা বন্ধ রাখা হবে।
একইসঙ্গে সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী এলাকা মাসা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কেবল মসজিদুল হারামের ভেতরে নামাজ আদায় করতে পারবেন মুসল্লিরা।
ওমরাহ বন্ধ থাকাকালে মদিনায় মসজিদে নববীতে রওজা শরীফও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাহাবাদের কবরস্থান জান্নাতুল বাকিও জিয়ারতকারীদের জন্য বন্ধ থাকবে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদুল হারামে ইতিকাফ পালনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া হাজিদের জন্য বন্ধ রাখা হবে পবিত্র জমজম কূপের পানির কনটেইনার সরবরাহ।
বৃহস্পতিবার থেকে কাবা শরীফ ও মসজিদে নব্বীতে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস-এর আশঙ্কায় জীবাণুমুক্ত কার্যক্রম। এ সময় ইসলামের পবিত্রতম কাবা শরীফখালি করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কাবা শরীফের চারদিকের সাদা টাইলযুক্ত পুরো এলাকা যেখানে সব সময় হাজার হাজার হজযাত্রীতে ভরা থাকে, খালি করে জীবাণুমুক্ত করার চিত্র দেখানো হয়েছে।
এই পদক্ষেপটি একটি “অস্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা” ছিল তবে গ্র্যান্ড মসজিদের উপরের তলাগুলি নামাজের জন্য উন্মুক্ত ছিল, একজন সৌদি কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন।
সৌদি আরবে করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত পাঁচ ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন।