করোনার জেরে দিনে ২০ হাজার যাত্রী হারাচ্ছে চাঙ্গি বিমানবন্দর!

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে যাত্রীসংখ্যা। করোভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দৈনিক ১৮ থেকে ২০ হাজার যাত্রী হারাচ্ছে বিমানবন্দরটি। সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ড (এসটিবি) এর একটি সাম্প্রতিক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

দ্যা স্ট্রেইট টাইমসের একটি সংবাদে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালের সার্সের চাইতেও করোভাইরাস প্রাদুর্ভাব সিঙ্গাপুরের উপর বেশি আঘাত হেনেছে। এসটিবি প্রধান নির্বাহী কেইথ তান পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন: “আমাদের ধারনা অনুযায়ী বর্তমানে আমরা দৈনিক গড়ে ১৮ থেকে ২০ হাজার আন্তর্জাতিক যাত্রী কম পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন “২০০৩ সালে সার্সের পর সিঙ্গাপুরের পর্যটন খাত এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। তবে আশার কথা হল সার্সের সময় যে প্রস্তুতি ছিল তার চাইতেও অনেক বেশি সক্ষমতা আমাদের আছে। এখনও পর্যটনের আকর্ষণের জায়গায় আমাদের অবস্থান প্রথম সারিতে, পর্যটন ভিত্তিক শক্তিশালী পণ্যের বাজারও আমাদের আছে যেটি বেশ বৈচিত্র্যময়। ”

Travelion – Mobile

এসটিবির মতে, আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশই চীনের। চীনারা সিঙ্গাপুরে পর্যটকদের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত। তবে বর্তমান পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে না আসায় এসটিবি আশংকা তাদেরে আগমনের হার এ বছর ২৫% থেকে ৩০ % কমে যাবে। r

গেল বছর সিঙ্গাপুর ১৯.১ মিলিয়ন পর্যটক আকৃষ্ট করেছিল যাদের মাধ্যমে দেশটি আয় করেছিল ১৯.৫৫ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে এই বছর এই পর্যটক সংখ্যার ধ্বসে খুচরা বিক্রেতা থেকে শুরু করে ট্যুর অপারেটর এবং হোটেল মালিক সকলেই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

বিশ্বের অন্যতম ভ্রমণ তথ্য সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান ওএজি জানায়, গেল মাসে চীন ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ফ্লাইটের সংখ্যা ৮৯.১ শতাংশ কম ছিল।

এদিকে জাতীয় বিমানসংস্থা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস (এসআইএ) এবং এর সহযােগী সংস্থা সিল্কএয়ার মে পর্যন্ত চীনসহ বিভিন্ন গন্তব্য তাদের ফ্লাইট হ্রাস করেছে। বাতিলকরণের ফলে এ সময়ের মধ্যে দুই সংস্থার সিডিউল পরিধি ৭.১ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস।

কম খরচের বিমানসংস্থা স্কুটও বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের সকল গন্তব্যে ফ্লাইট সীমিত করেছে।

তাই ২০১৮/১৯ সালে সিঙ্গাপুরের এই তিনটি এয়ারলাইন্স ১১.৭৭ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব এবং অপারেটিং মুনাফা হিসেবে ৭৭০ মিলিয়ন ডলার আয় করলেও এ বছর তা তেমন কোন সম্ভাবনার মুখ দেখবে না বলেই ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!