ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধািনী ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে লেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা চালু করা হয়েছে।

স্থানীয় সময় ১৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন ও যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম দূতাবাসে এই সেবার উদ্বোধন করেন। দুজন আবেদনকারীর আবেদনপত্র গ্রহণের মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথম কার্যক্রম চালুর মধ্যে দিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিশ্বের সর্বাধুনিক ‘ই-পাসপোর্ট’ পাওয়ার পথ খুলে। এর পর ১০ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে এবং ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রিসের এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধন করা হয়।

Travelion – Mobile

সেই ধারাবাহিকতায় চতুর্থতম মিশন হিসেবে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) সেবা চালু হলো।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনো ই-পাসপোর্টের প্রচলন করতে পারেনি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে।

হাতে লেখা এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের কিছু সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে তিনি বলেন, নতুন প্রচলিত ই-পাসপোর্ট বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির হওয়ায় এতে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। যার ফলে বহির্বিশ্বে এই পাসপোর্টধারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার ইতিমধ্যেই ঢাকা, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ই-গেট স্থাপন করেছে। যা যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করবে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম ই-পাসপোর্ট সেবা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের একক কৃতিত্ব হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এটি তাঁর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের আরেকটি যুগান্তকারী মাইলফলক হিসেবে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুসারে, ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট-এই পরিষেবার অগ্রগতিতে স্বল্প সময় লেগেছে এবং ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন সারাবিশ্বে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোগান্তি হ্রাস করবে।

তিনি বিদেশে অবস্থিত মিশনের মধ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রাথমিক পর্যায়ে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করার জন্য সুরক্ষা সেবা এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান।

প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বলেন, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ই-পাসপোর্ট সেবা উদ্বোধনের পর ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর ইতিমধ্যে দেশে ১০ লাখ ই-পাসপোর্ট বিতরণ করেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২১ সালের জুনের শেষে দেশের সব পাসপোর্ট অফিস ই-পাসপোর্ট সেবার আওতায় আনা হয় এবং বর্তমানে এই সেবাটি বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে সম্প্রসারিত হলো।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!