ওমানে যেসব বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থেকে ছাড় পেল

ওমানে ঈদকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক সপ্তাহের জন্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাত্রীকালীন লকডাউন দুই ঘন্টা বেড়ে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

দেশটির করোনা প্রতিরোধে নিযুক্ত সুপ্রিম কমিটির সিদ্বান্তে শনিবার (৮ মে) থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এই ব্যবস্থা জারি হয়েছে। দিন ও রাত ২৪ ঘন্টা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে এবং রাত্রিকালীন লকডাউনের সময়ে মানুষ ও যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। তবে উভয় ক্ষেত্রে কিছু জরুরী ও প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং ব্যক্তি শ্রেণিকে নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

ওমানের বাণিজ্য, শিল্প ও বিনিয়োগ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে, ৫০ শতাংশ ধারণ ক্ষমতায় শাকসবজি, ফলমূল ও মাছের কেন্দ্রীয় বাজার এবং সকল কসাইখানা খোলা থাকবে। একসাথে সর্বোচ্চ ৩ জন গ্রাহকের উপস্থিতিতে টায়ার এবং যানবাহন মেরামত শাখাসহ জ্বালানী স্টেশনগুলো খোলা রাখা যাবে। খোলা থাকবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ভেটেরিনারি ক্লিনিক, ডাক্তারের চেম্বার ফার্মেসি এবং চশমার দোকান।

Travelion – Mobile

হাইপার মার্কেটগুলি মাত্র ৩০ শতাংশে সক্ষমতায় চলবে। মার্কেটগুলিতে কেবল নিত্যপণ্যে, খাদ্য সামগ্রী, মাংস, ফল এবং শাকসবজি বিক্রি করবে, অন্যান্য অংশগুলি বন্ধ থাকবে।

মুদি, বেকারি, হালওয়া, বাদাম এবং মিষ্টান্নের দোকান, আইসক্রিম এবং জুস পার্লার, মাংস, হাঁস-মুরগি ও ফিশমোনার্স, মধু, খেজুর এবং মশলা বিক্রি এবং ফলমূল ও শাকসব্জির দোকানগুলি উন্মুক্ত থাকবে।

আগের খবর : ওমানে বেসরকারী খাতে সাড়ে ১৪ লাখ প্রবাসী কর্মী

রেস্তোঁরা, ক্যাফে এবং সড়কের খাবার বিক্রেতারা গ্রাহক প্রবেশ বা সমাগম ছাড়া শুধু টেকওয়ে ও হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালাতে পারবে। ডেলিভারি চালকদের রাস্তায় যাতায়াতের অনুমতি দেওয়ার জন্য রেস্তোঁরাগুলি থেকে একটি পাস দিতে হবে।

গ্রাহকদের উপস্থিতি ছাড়া শুধু কর্মক্ষেত্রে প্রশাসনিকভাবে যেসব অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল; ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মানি এক্সচেঞ্জ হাউজ, নিরীক্ষণ এবং অ্যাকাউন্টিং অফিস, নির্মাণ ও চুক্তি সংস্থা, অনুবাদ অফিস (সানাদ কেন্দ্র), পরিবহন ও স্টোরেজ সংস্থা, সহায়তা কেন্দ্র, বীমা সংস্থা, শিপিং ও কাস্টমস ক্লিয়ারিং অফিস, সব ধরণের আর্থিক ও পরামর্শক সংস্থা, ডাক সংস্থা ও অফিস, আইনজীবি এবং হোম ডেলিভারি সংস্থা।

কৃষি, মৎস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের শর্তে জেলে, মৌমাছি পালনকারী এবং খাদ্য ল্যাবকেও কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মাছ ধরার নৌকা মেরামত কারখানা ও মাছ ধরার সরঞ্জাম বিক্রয়ের দোকান খোলা রাখা যাবে।

রাত্রিকালীন লকডাউনের সময়ে পণ্য পরিবহন বা সরবরাহ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এই সময়ে স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি যানবাহন, জরুরি বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং বেসরকারী হাসপাতাল ও ফার্মাসির নাইট শিফটের কর্মীরা চলাচল করতে পারবেন।

এ ছাড়া ব্যক্তি এবং যানবাহন চলাচল নিষেধাজ্ঞা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বন্দর ও বিমানবন্দর চলাচলকারী কর্মী, সব ধরণের তিন টন ও তারও বেশি ট্রাক-লরির শ্রমিক, পানির ট্যাঙ্কার ও পয়ঃনিস্কাশন ট্যাঙ্কার, কারখানা শ্রমিক, পণ্য লোডিং ও আন লোডিং এবং গুদাম শ্রমিক (তবে কারখানা বা গুদামের বাইরে চলাচল না করার শর্তে), তেল ক্ষেত্রের বিপণন সংস্থা এবং কর্মীদের সাথে জ্বালানী স্টেশনের শিফটের কর্মীদের ।

সুপ্রিম কমিটি, ঈদের নামাজ ও ঐতিহ্যবাহী ঈদের বাজার বন্ধ এবং ঈদুল ফিতরের দিনগুলিতে সৈকত, পার্ক ও পাবলিক পার্কসহ বিভিন্ন স্থানে সকল ধরণের সমাবেশ এবং পারিবারিক সমাবেশ, শুভেচ্ছা সমাবেশ এবং ঈদ পূণর্মিলনী উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!