ওমানে করোনার কোয়ারান্টাইনে ১৩২০ জন, শনাক্ত একজন সুস্থ
ওমানে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ে কোয়ারান্টাইন্ড করা মানুষের সংখ্যা ১,৩২০ পৌঁছেছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত ছয় রোগীর মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে ওঠেছে।
এ তথ্য দিয়ে ওমানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আহমেদ বিন মোহাম্মদ আল সাদী জনগণকে সকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কঠোরভাবে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভার পরে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,”হোম কোয়ারান্টাইন প্রক্রিয়া বিশ্বব্যাপী কার্যকর হয়েছে। ওমানে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের সংখ্যা ১,৩২০ জন এবং আক্রান্তদের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে ওঠেছেন।”
মন্ত্রী আরও বলেন,”সুলতানাতে আবিষ্কৃত করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সকল রোগী ইরান থেকে ফিরে আসা ওমানি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনভাইরাস সম্পর্কিত যে কোনও প্রশ্ন বা পদ্ধতির বিষয়ে সরাসরি যোগাযোগের জন্য ওমানের সকল প্রদেশে হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় (এমওএইচ) এক পৃথক বিবৃতিতে বলেছে, যে করোনাভাইরাসে সংক্রামিত ছয়জন রোগীর মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে ওঠেছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় (এমওএইচ) স্পষ্ট করে বলছে, করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের অঞ্চলগুলি থেকে আগত মানুষদের জন্য পৃথকীকরণ একটি সতর্কতা ব্যবস্থা কোয়ারানটাইন । কোয়ারানটেড ব্যক্তিরা অসুস্থ নন। আলাদা থাকার সময় কোনও লক্ষণ দেখা দিলে তাদের পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্যই এই নিরপত্তা ব্যবস্থা প্রযোজ্য।
এমওএইচ পরিবারের সকল সসদ্যকে তাদের পরিবার এবং সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে অনুরোধ করেছে। সবাইকে কাশি এবং হাঁচি দেওয়ার পরে পানি এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, পাশাপাশি টিস্যু পেপার বন্ধ বিনে ফেলা এবং হাত পরিষ্কার না করে মুখ এবং চোখ স্পর্শ না করার আহবান জানিয়েছে।
২৫ই ফেব্রুয়ারির পর থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় ইরানে আটকা পড়ে থাকা ৬০০ জনেরও বেশি নাগরিককে ওমান ফিরে আনা সম্ভব হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে আরও কয়েকটি ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমেএই প্রক্রিয়া শেষ হবে, ইরানের বিভিন্ন শহর থেকে ফিরিয়ে আনা হবে বাকি সকল ওমানি নাগরিককে। ।
আজ রবিবার শিরাজ ও আগামীকাল সোমবার থেকে আনা হবে। মঙ্গলবার ইরানের শিরাজ থেকে তাবান এয়ারলাইনসের শেষ ফ্লাইটের মাধ্যমে ইরান থেকে আটকা পড়া সকল ভ্রমণকারীর প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হবে।
বৃহস্পতিবার এমওএইচ বলেছে যে, ৯ই ফেব্রুয়ারির পর থেকে ইরান থেকে ওমান ফেরা সকল ভ্রমণকারীদের নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে ।
ওমানি এবং প্রবাসীদের প্রতি গুজবে কান না দেওয়া এবং নির্ভরযোগ্য সরকারী উৎস থেকে তথ্য নেওয়ার পুরনায় আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ।
এ দিকে চলতি মাসেই মাসকটে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন বাতিল কিংবা তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।
এদিকে ওমানের লো-কস্ট বিমানসংস্থা সালামএয়ার বাহরাইনে রুটে তাদের সকল ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দিয়েছে। বিমান সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বাহরাইন কর্তৃপক্ষের জারিকৃত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং জাতীয় স্বাস্থ্য জরুরী পরিকল্পনা হিসাবে করোনভাইরাস মোকাবিলার প্রচেষ্টার আলোকে ওমান ও বাহরাইনের মধ্যে ফ্লাইট সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে।”