উত্তর কোরিয়ায় প্রথম করোনা-আক্রান্তকে গুলি করে হত্যা ?

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি করা হবে- এই বার্তা আগেই দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন । শুক্রবারই রীতিমতো যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি সেনা-মহড়া হয়েছে কিমের দেশে। সরকারি আধিকারিকদের সতর্ক করে দোর্দণ্ডপ্রতাপ কিম বলে রেখেছিলেন,’যদি কোনওভাবে ওই ভাইরাস এদেশে ঢুকে পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়- এর ফল মোটেই ভালো হবে না।’

এরপরই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীকে গুলি করে মেরে ফেলার খবর মিলল উত্তর কোরিয়া থেকে। খবর অনুযায়ী, আক্রান্তকে হত্যার নির্দেশ এসেছে দোর্দণ্ডপ্রতাপ শাসক কিম জং উনের অফিস থেকেই। বলা হচ্ছে নির্দেশদাতা স্বয়ং কিমই!

খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পাবলিক গোসলখানায় গিয়েছিলেন। এতে অন্যরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে যান। ফলে ঝুঁকি মোকাবেলায় তাকে গুলি করে মারা হয়। তিনি ছিলেন একজন সরকারী কর্মকর্তা।

Travelion – Mobile

আইনশংখলাবাহিনীর কর্মকর্তারা ওই রোগীকে গ্রেপ্তার পর সঙ্গে সঙ্গে গুলি হত্যা করে। অবশ্য সরকারিভাবে এ বিষয়ে কোন খবর দেয়নি উত্তর কোরিয়া।

এ খবরটি প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরের একটি সংবাদ সংস্থা। তাদের রিপোর্টে একটি টুইটার অ্যাকাউন্টের কথা উল্লেখ করে জানানো হয়, ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্যটি প্রকাশ পেয়েছে। টুইটার অ্যাকাউন্টটির নাম ‘সিক্রেট বেইজিং’। অ্যাকাউন্টের মালিক নিজের পরিচয় হিসেবে চীন সংশ্লিষ্ট সামাজিক পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক বলেন। তার এই টুইটটি ভাইরাল হয়ে গেছে।

সিঙ্গাপুরের ওই সংস্থাটি ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মিডিয়া রিপোর্টে করোনা-রোগীকে হত্যার দাবি করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র থেকে তারা জানতে পেরেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে এক ব্যক্তিকেকে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিয়ম মানেননি। তখন ওই তাকেকে গুলি করে মারা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার দং-ই ইলবো সংবাদপত্র জানিয়েছে যে, চীন ভ্রমণ করে আসার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই রোগীকে আলাদা করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।

তবে বিবিসি জানায়, উত্তর কোরিয়ায় এক করোনাভাইরাসকে গুলি করে হত্যার যে খবর ছড়িয়েছে তা নিশ্চিত করা যায়নি। খবরটি ‘ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস’ এর সিঙ্গাপুর সংস্করণে প্রকাশ করা হয়েছে। এ খবর করা হয়েছে ‘@সিক্রেট_বেইজিং’ নামের টুইটার অ্যাকাউন্টের টুইট থেকে। তবে এ তথ্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!