ওমানের সাবেক রাষ্ট্রদূত নুরুল আলম চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ওমানের সাবেক রাষ্ট্রদূত, চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী । এ উপলক্ষে প্রয়াতের পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

নুরুল আলম চৌধুরী গত বছরের ২৭ জানুয়ারি ৭৩ বছর বয়সে চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রয়াতের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে স্মৃতিচারণ, খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, কবর জেয়ারত ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ।

Travelion – Mobile

প্রয়াত নুরুল আলম চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৫ সালের ২১ মে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়নে গোপালঘাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।। তার পিতার নাম মতিউর রহমান চৌধুরী ও মাতার নাম ওয়াইজুন্নেছা চৌধুরী।

১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হয়েই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর ১৯৬৪ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন। তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। ১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রথম সভাপতি ছিলেন।১৯৬৯ সালে তিনি সেখান থেকে এমএ পাস করেন। ঔ বছর তিনি গণঅভ্যুত্থানে জড়িয়ে পড়েন

’৭০ এর উত্তাল দিনগুলোতে তিনি আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর উপ প্রধান নিযুক্ত হয়ে জনমত গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে এম এ হান্নানের নেতৃত্বে সোয়াত জাহাজে অস্ত্রখালাসের বাধায় অংশ নেন এবং পরবর্তীতে তিনি ভারতের সাব্রুম, উদয়পুর হয়ে ইয়ুথ ক্যাম্পে সহকারী পরিচালক নিযুক্ত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নুরুল আলম চৌধুরী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ সভাপতি ও সর্বশেষ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরিত যোগ দেননি, মূলত বঙ্গবন্ধুর আহ্বানেই সরকারি চাকরিতে যোগ না দিয়ে রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন।

ফলে ১৯৭৩ সালে ২৮ বছরেরও কম বয়সে জাতীয় সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন নুরুল আলম চৌধুরী। এত কম বয়সে এখনো পর্যন্ত দ্বিতীয় আর কেউ সংসদ সদস্য হওয়ার নজির খুব একটা নেই। ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৭ সালে রূপালী ব্যাংকের পরিচালক ও ২০১০ সালে ওমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।

মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অবিচল ‍ও ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তার মানুষ ছিলেন নুরুল আলম চৌধুরী।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!