নেপালে নিখোঁজ উড়োজাহাজের এখনও হদিস নেই, সোমবার ফের তল্লাশি

নেপালের তারা এয়ারের উড়োজাহাজের খোঁজ এখনও মিলেনি। ২২ জন যাত্রী নিয়ে রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পোখরা থেকে জমসমের দিকে উড়ে গিয়েছিল ফ্লাইটটি। কিন্তু ওড়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফ্লাইটের সঙ্গে এয়ার ট্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফ্লাইটটিতে ১৩ জন নেপালি, চারজন ভারতীয় এবং দুজন জার্মান ছিল।

নিখোঁজ ফ্লাইটটির সন্ধান নিয়ে বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে। প্রথমে নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর টুইটে জানিয়েছিল, একটি নদীর কাছে বউড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা গিয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই নেপাল সেনা টুইট করে জানায়, উড়োজাহাজটিকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পাওয়া যায় যে একটি জায়গায় কিছু জ্বলছে। আমরা সেই স্থানে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি। সেখানে পৌঁছতে পারলেই একমাত্র জানা সম্ভব হবে, তা আদৌ উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ কি না।

Travelion – Mobile

রবিবার সন্ধ্যায় একটি টুইট বার্তায় নেপাল সেনাবাহিনীর মুখপাত্র, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নারায়ণ সিলওয়ালবলেছেন, “দিনের আলো এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেনাবাহিনী আজকের জন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধারের সমস্ত প্রচেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছে। আকাশ ও স্থল উভয় দিক থেকেই আগামীকাল ভোরে তল্লাশি শুরু হবে। হেলিকপ্টার নিয়ে আমাদের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল জোমসোমে স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।”

উড়ানের ১৫ মিনিট পর সকাল ১০টা ০৭ মিনিটে ঘোদেপানি এলাকায় ফ্লাইটটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগের বাইরে চলে যাওয়ার পরপরই, নেপাল সেনাবাহিনী অনুসন্ধানের জন্য লেটে এলাকায় তাদের কর্মীদের মোতায়েন করে। সন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের জন্য দ্রুত একটি MI-17 হেলিকপ্টার কাঠমান্ডু থেকে লেটে পাঠানো হয়।

নেপালের সিভিল এভিয়েশন অথরিটির মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ বলেছেন, একটি ইমার্জেন্সি লোকেটার ট্রান্সমিটারের (ইএলটি) উপর ভিত্তি করে, তারা খাইবাং-এর সম্ভাব্য এলাকা খুঁজে পেয়েছে।

ইএলটি হল একটি জরুরী বীকন যা বিমানে উদ্ধারকারী কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতে এবং বিপদে থাকা একটি উড়োজাহাজের অবস্থান ও পরিচয় নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।

“আমরা ভারতের ব্যাঙ্গালোর থেকে একটি নোট পেয়েছি, যা ইএলটি ট্র্যাক করে,” কর্ণ বলেন৷

“কিন্তু কিছু জটিল আবহাওয়ার কারণে, উদ্ধারকারী দলগুলি সম্ভাব্য স্থানে পৌঁছানো কঠিন মনে করছে,” তিনি যোগ করেছেন। “এলাকা ঘন মেঘে ছেয়ে গেছে এবং বৃষ্টিও শুরু হয়েছে।”

“তবে স্থল অনুসন্ধান চলছে,” কর্ণ বলেছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি খাইবাংয়ে দুটি চক্কর দেয়।

সূত্র : কাঠমন্ডু পোস্ট

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!